গত ২ মে আবাহনী–বসুন্ধরা কিংস গোলমালের ম্যাচে ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা মারার অভিযোগ আসে সাদের বিরুদ্ধে
গত ২ মে আবাহনী–বসুন্ধরা কিংস গোলমালের ম্যাচে ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা মারার অভিযোগ আসে সাদের বিরুদ্ধে

সাদের শাস্তি নিয়ে নাটক চলছে, ছয় মাস থেকে এখন নাকি ৪ ম্যাচ

ফুটবলার সাদ উদ্দিনের শাস্তি নিয়ে নাটক চলছেই। প্রথমে বলা হয় ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ তিনি, পরে সেটি হয়ে যায় ৬ মাস। এই নাটকে নতুন মোড় আসে গতকাল। এদিন অনলাইন জুম বৈঠকে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডারের শাস্তি হবে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা!

যুক্তি হিসেবে বাফুফের একটি সূত্র বলছে, ম্যাচ কমিশনারকে সাদের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা শৃঙ্খলা বিধির ৪৫ (১) (বি) ধারার আওতায় পড়ে না, বরং তা পড়ে ৪৫ (১) (এ) ধারার অধীন। সেই ধারায় সর্বনিম্ন শাস্তি চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য। তাই আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করে ছয় মাসের বদলে চার ম্যাচ দেওয়া হয়েছে।

রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন সাদ

তবে নতুন এই সিদ্ধান্ত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বাফুফে। ফলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তও টিকবে তো, নাকি নাটকের নতুন দৃশ্য এখনো বাকি?
২ মে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর ম্যাচে ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে সাদকে প্রথমে ছয় ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়। কিন্তু দুই দিন পর মধ্যরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে জানায়, সাদ নিষিদ্ধ থাকবেন ছয় মাস। এতে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র—একবার ছয় ম্যাচ, আরেকবার ছয় মাস!

সূত্র বলছে, কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তে ভুল হতেই পারে। তবে কার্যবিবরণী লেখার সময় কোনো অসংগতি দেখা গেলে সেটি কমিটির সদস্যদের জানিয়ে তারপর শোধরানো উচিত ছিল মনে করে সূত্রটি। সেটা না হওয়ায় আগের সিদ্ধান্তে নাকি ত্রুটি হয়েছে। ছয় মাস ও ছয় ম্যাচ গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, সাদ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তাই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের ম্যাচের জন্য যেন জাতীয় দলে বিবেচনায় আসতে পারেন এ কারণেই তাঁর শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টিতে লঘু ধারায় দেখা হয়েছে।

আবাহনী–বসুন্ধরা কিংস ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে

কিন্তু রেফারিকে ধাক্কা মারলে কম করেও ৬ মাস সাসপেন্ড এটা বাইলজে বলা আছে। সাদ ম্যাচ কমিশনারকে ধাক্কা মেরেছেন বলে বাফুফের সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে। তাহলে শাস্তি কমল কীভাবে? এই প্রশ্ন করা হলে সূত্রটি বলছে, ‘পাঞ্চিং এবং পুশিং এক জিনিস নয়। আইনে পাঞ্চিং বা মুষ্ঠাঘাত আছে ছয় মাস শাস্তির ক্ষেত্রে।’