
২৩ বছরের অপেক্ষা। পুরনো গৌরবের ধুলো ঝেড়ে আবার দেশের ফুটবলের শীর্ষ আসনে বসেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাব, যাদের জয়জয়কারে একদিন ঢাকার রাস্তাঘাট কেঁপে উঠত, তারা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে—এমনটাই ভেবেছিল হাজারো সমর্থক।
কিন্তু না। মাঠে পাওয়া জয় কাগজে-কলমে পরাজয়ে রূপ নিচ্ছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে পারবে না বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের নতুন চ্যাম্পিয়ন। কারণ, তারা ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অনলাইন পোর্টালে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল গত ২৫ মার্চ। তখনো মোহামেডানের হাতে ছিল না লিগের ট্রফি।
শিরোপা জেতার পর সব তৎপরতা, সব চেষ্টা—সবই এল দেরিতে। মোহামেডান আপিলও করে। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে এএফসি। আজ রাত পৌনে ১০টায় বাফুফে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে এএফসির ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য আবেদন করেছিল পাঁচটি ক্লাব—মোহামেডান, আবাহনী লিমিটেড. বসুন্ধরা কিংস, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এর মধ্যে আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংসকেই শুধু এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ২০২৫-২৬–এর জন্য ক্লাব লাইসেন্স দিয়েছে এএফসি।
নিয়ম অনুযায়ী, লিগ চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে রানার্সআপ দল সুযোগ পাবে। সেই হিসেবে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থেকে লিগ শেষ করা আবাহনী সুযোগ পাবে।
তবে পাকিস্তানের কোনো ক্লাব এএফসি ক্লাব লাইসেন্স করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি কোটা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কোটা বাড়লে বসুন্ধরা কিংস সুযোগ পাবে।