বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনায় যাওয়ার পর এখনো প্যারিসে ফেরেননি লিওনেল মেসি। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় খেলার সুযোগ ছিল না নেইমারেরও।
আক্রমণভাগের দুই তারকাকে ছাড়া মাঠে নেমে বছরের প্রথম ম্যাচেই হারল পিএসজি। লিগ আঁ-র দ্বিতীয় স্থানে লাঁস কিলিয়ান এমবাপ্পেদের হারিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। এ জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকায় ব্যবধানও কমিয়ে এনেছে লাঁস। ১৭ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট ৪৪, লাঁসের ৪০।
বোলায়ের্ট ডেলিলিস স্টেডিয়ামে পিএসজি খেলতে নেমেছিল টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা শুরুর পঞ্চম মিনিটেই গোল হজম করে বসে ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের দল।
লাঁসের একটি আক্রমণ জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে না পারলে ফাঁকায় পেয়ে যান মিসলাভ ফ্রাঙ্কোভস্কি। সহজেই বল জালে পাঠিয়ে দেন পোলিশ উইঙ্গার। তবে তিন মিনিট পরই সেই গোল শোধ দিয়ে দেয় পিএসজি।
এটিও হয়েছে গোলরক্ষক বল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায়। নর্দি মুকিয়েলের বাড়ানো বলে হাত স্পর্শ করে ফেলেছিলেন লাঁস গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা। গোলরক্ষক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে বল জালে জড়ান উগো একিতিকে।
স্বাগতিক দল আবার এগিয়ে যায় ২৮ মিনিটে। ডি বক্সে বল পেয়ে যাওয়া লোইস ওপেনদা ছুটে আসা দোনারুম্মার শরীরের নিচ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাঁস।
Also Read: নেইমারের লাল কার্ডের রাতে ‘নায়ক’ এমবাপ্পে
দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি ঘুরে দাঁড়াবে কী, নিজেদের তৃতীয় গোলটিও করে ফেলে লাঁস। ৪৭ মিনিটে অ্যালেক্সিস-ক্লদ-মরিসের জোরালো শট প্রতিহত করতে নাগালই পাননি পিএসজি গোলরক্ষক।
সর্বশেষ ম্যাচে ৯৬তম মিনিটে গোল করে পিএসজিকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। তবে এই ম্যাচে মাঝমাঠের সহায়তা পেয়েছেন কম, নিজেও ঝলক দেখাতে পেরেছেন হাতে গোনা।
এর মধ্যে ৬০তম মিনিটে নেওয়া শটটিই ছিল সম্ভাবনা জাগানো, তবে লাঁস গোলরক্ষক সেটি রুখে দেন। এর ১৫ মিনিট পর পাবলো সারাবিয়া হেডে সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু লাঁস গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় এ যাত্রায়ও গোলবঞ্চিত হয় পিএসজি। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় ৩-১ ব্যবধানে হার দিয়ে।
Also Read: পিএসজির জার্সিতে কবে মাঠে নামতে পারবেন মেসি?