Thank you for trying Sticky AMP!!

এবার কি ইউরো শিরোপা জিততে পারবে ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ড কেন ইউরো জিততে পারে, জানালেন গার্দিওলা

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মৌসুম এখন শেষের দিকে। এরই মধ্যে বেশ কিছু লিগের শিরোপা–ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাকি লিগগুলো এবং ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শিরোপা–ভাগ্যও নির্ধারিত হয়ে যাবে। তবে ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষ অঙ্কে চলে এলেও ফুটবলের মৌসুম কিন্তু এখনই শেষ হচ্ছে না। এরপরই যে শুরু হবে ইউরো ২০২৪।

১৫ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের উত্তাপ অবশ্য এখন থেকেই ছড়াতে শুরু করেছে। স্বয়ং ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও সম্প্রতি ইউরো নিয়ে কথা বলেছেন। এবার ইংল্যান্ড জাতীয় দলের দারুণ সম্ভাবনাও দেখছেন গার্দিওলা। এমনকি তাঁর নিজের দল ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ইংল্যান্ডের মিলও খুঁজে পেয়েছেন গার্দিওলা।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার কাছাকাছি পৌঁছেও শিরোপা জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের।

Also Read: ‘৩০০’–এর মাইলফলকে গার্দিওলা যেখানে ফার্গুসন–ওয়েঙ্গার–ক্লপ–মরিনিওর চেয়ে এগিয়ে

গ্যারেথ সাউথগেটের দল ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে সেমিফাইনালে গিয়ে হার মেনেছিল। ২০২১ ইউরো ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল ইতালির কাছে। ২০২২ বিশ্বকাপে ‘থ্রি লায়ন্স’রা ফ্রান্সের কাছে হেরেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

কাছাকাছি গিয়ে বারবার ফিরে এলেও গার্দিওলা মনে করেন ইংল্যান্ড সঠিক পথেই আছে, ‘তারা খুবই ভালোই দল। এটা শুধু স্ট্রাইকারদের মেধার জন্য না, পুরো প্যাকেজ ও দলের জন্য। আর গ্যারেথ (সাউথগেট) সঠিকভাবে জানে তাকে কী করতে হবে। আমার ভাবনা এবং সবার ভাবনা এমন যে সর্বশেষ প্রতিযোগিতা যেমন বিশ্বকাপ এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর তারা সামনে এগিয়েছে। তারা একেবারে কাছাকাছি আছে, একদম নিকটে। তারা একবার ফাইনালে হেরেছে এবং একবার সেমিফাইনালে উঠেছে।’

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা

সিটির সঙ্গে ইংল্যান্ডের তুলনা করে গার্দিওলা আরও বলেছেন, ‘আপনি যখন প্রতি দুই বছরে এ পর্যায়ে পৌঁছাবেন, তার মানে এটা ঘটতে (চ্যাম্পিয়ন) যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গেও এমনই হয়েছে। আমরাও খুব কাছাকাছি ছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছি।’

Also Read: বড় জয়ে দুইয়ে সিটি, লিভারপুলের দুর্দশার কথা মনে করে তবু সতর্ক গার্দিওলা

ইংল্যান্ডের দলের দারুণ সম্ভাবনা দেখা গার্দিওলা দেশটির সমর্থকদেরও দারুণ প্রশংসা করেন। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে খেলোয়াড়দের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে বললেন এ স্প্যানিশ কোচ, ‘তারা যখন ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা বিশ্বকাপ খেলে তাদের (সমর্থকদের) প্রতিক্রিয়াগুলো আমি দেখি। রাস্তায় রাস্তায় মানুষ পাগল হয়ে যায়। জাতীয় দলের জন্য তারা বেশ পাগলামি করে। এটা প্রমাণ করে যে দল নিয়ে তারা কতটা গর্বিত। একজন ফুটবলারের জন্য এটা সেরা ব্যাপার যে দেশের জন্য আপনি যা করছেন, যেভাবে খেলছেন এবং শেষ ধাপে পৌঁছাচ্ছেন সেসব নিয়ে আপনার দেশ গর্বিত। এখন শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে। যদি তারা বিশ্বাস রাখতে পারে, তবে তারা কাজটা সম্পন্ন করতে পারবে।’