লিওনেল মেসির গোল উদ্‌যাপন
লিওনেল মেসির গোল উদ্‌যাপন

‘মেসি এখন প্রতি ৩ দিনে রেকর্ড ভাঙে’

টানা পাঁচ ম্যাচে জোড়া গোল করা লিওনেল মেসির জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে টানা ছয় ম্যাচে দুটি করে গোল করেছিলেন তিনি।

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবে হয়নি। কিন্তু মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) একরকম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন লিওনেল মেসি।

ক্লাব বিশ্বকাপের আগে এমএলএসে মন্ট্রিয়ল ও কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে দুটি করে গোল করেছিলেন মেসি। ক্লাব বিশ্বকাপের পরেও ছন্দটা ধরে রেখেছেন। মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ফিরতি লেগের পর নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশন এবং সর্বশেষ আজ ন্যাশভিলের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছেন ইন্টার মায়ামির প্রাণভোমরা।

বৃহস্পতিবার নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এমএলএসে টানা চার ম্যাচে কমপক্ষে দুই গোল করার রেকর্ড গড়েন মেসি। ৩৮ বছর বয়সী আজ ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেরই রেকর্ড ভেঙে সেটাকে টানা পাঁচ ম্যাচে জোড়া গোলে নিয়ে গেছেন।

মেজর লিগ সকারে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন মেসি

লিগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে ১০ গোলের সঙ্গে ৪টিতে সহায়তাও করেছেন মেসি। ইন্টার মায়ামি জিতেছে এই পাঁচ ম্যাচেই।

ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি ইস্টার্ন কনফারেন্সে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে। বর্তমানে তাদের পয়েন্ট ৩৮। শীর্ষে থাকা ফিলডেলফিডার পয়েন্ট ৪৩ হলেও মায়ামি তাদের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলেছে। তাই গতবারের মতো এবারও সাপোটার্স শিল্ড জয়ের দৌড়ে তারা ভালোভাবেই টিকে আছে।

এই বয়সেও মেসি যেভাবে খেলে যাচ্ছেন, তাতে মুগ্ধ ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনা দলে একসময়ের সতীর্থ মাচেরানোর মনে হচ্ছে, মেসির এখন প্রতি তিন দিন পরপর রেকর্ড ভাঙছেন।

আজ ন্যাশভিলের বিপক্ষে ২–১ গোলে জয়ের পর কোচ বলেছেন, ‘সে (মেসি) অবিশ্বাস্যভাবে নিজের কাজ করে চলেছে। প্রতি তিন দিনে (একটা করে) রেকর্ড ভাঙছে। সে এই দলের পতাকা বাহক, আমাদের নেতা এবং আমরা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল, সেটার মান সে–ই স্থাপন করেছে। ওর ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ের অংশ হতে পারা (আমার জন্য) সত্যিই আশীর্বাদ।’

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে মেসি

মেসির জন্য টানা পাঁচ ম্যাচে জোড়া গোল করা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১২ সালে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে টানা ছয় ম্যাচে (মায়োর্কা, রিয়াল জারাগোজা, লেভান্তে, অ্যাথলেটিক বিলবাও, রিয়াল বেতিস ও আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে) দুটি করে গোল করেন। সেই ছয় ম্যাচেই বার্সা জিতেছিল। ২০১২–১৩ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫০ ম্যাচে ৬০ গোল করেছিলেন মেসি।

বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে এমএলএসে নিজেদের পরের ম্যাচে সিনসিনাটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। সেই ম্যাচেও জোড়া গোল করতে পারলে বার্সায় প্রায় ১৩ বছর আগের কীর্তি আবারও গড়তে পারবেন মেসি।

মেসি আজ ফ্রি–কিক থেকে নিজের ৬৯তম গোল পেয়েছেন। ফ্রি–কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোলের বিশ্ব রেকর্ডটা (৭৮টি) ব্রাজিলের সাবেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মার্সেলিনিও কারিওকার। ফ্রি–কিক থেকে আর ১০ গোল পেলে আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হয়ে যাবেন আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসি।