লামিনে ইয়ামালের চিকিৎসা নিয়ে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) অভিযোগকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বার্সেলোনা। ফেডারেশনের দাবি, ইয়ামালের রেডিওফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসা সম্পর্কে জাতীয় দলের চিকিৎসকদের সময়মতো জানায়নি ক্লাবটি। তবে বার্সা বলছে, চিকিৎসার তথ্য ‘অবিলম্বে’ এবং ‘দায়িত্বশীলভাবে’ জানানো হয়েছিল আরএফইএফকে।
ইয়ামাল বর্তমানে বার্সেলোনার চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন। ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সোমবার যোগ দিয়েছিলেন স্পেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলতে। কিন্তু চিকিৎসার বিষয়টি জানার পর কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে তাঁকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেন এবং ক্লাবে ফেরত পাঠান।
আরএফইএফের অভিযোগ, ইয়ামালের কুঁচকির চোটের জন্য রেডিওফ্রিকোয়েন্সি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বিষয়টি জানতে পারে চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে। এতে ফেডারেশনের চিকিৎসক দল বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করে। স্পেন কোচ লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমি আগে কখনো হইনি। আমার মনে হয় না, বিষয়টা খুব স্বাভাবিক। অবশ্যই আমি অবাক হয়েছি, যেমনটা অন্য সবাইও হয়েছে।’
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিবো জানিয়েছে, বার্সেলোনা অভিযোগটি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, বেলজিয়ান বিশেষজ্ঞ ডা. আর্নেস্ট শিল্ডার্সের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। দলের মেডিকেল স্টাফ, ইয়ামাল এবং বিশেষজ্ঞের যৌথ অনুমোদনেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চিকিৎসার পর ‘অবিলম্বে’ আরএফইএফকে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল বলেও বার্সার দাবি।
বার্সেলোনা আরও জানিয়েছে, চিকিৎসাটি করা হয়েছিল সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচের এক দিন পর, ১০ নভেম্বর সোমবার। চিকিৎসার পর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ‘নিয়ন্ত্রণে’ আছে, কোনো গুরুতর জটিলতার আশঙ্কা নেই। ক্লাবের দাবি, পুরো সময়ই স্পেনের মেডিকেল টিমের সঙ্গে তাদের ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগ’ ছিল।
এই পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে ইয়ামালকে ঘিরে দুই পক্ষের বিবাদ আরও তীব্র হয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে জাতীয় দলে খেলে আসার পর বার্সা কোচ অভিযোগ করেছিলেন, ইয়ামালকে ব্যথানাশক ব্যবহার করানো হয়েছিল। সেই কারণে ক্লাবের হয়ে চার ম্যাচে তাঁকে খেলানো যায়নি।
চলমান ফিফা উইন্ডোতে স্পেন খেলবে দুটি ম্যাচ। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচ ১৫ নভেম্বর জর্জিয়ার বিপক্ষে, দ্বিতীয়টি ১৮ নভেম্বর তুরস্কের বিপক্ষে।