তারিক কাজী
তারিক কাজী

হঠাৎ বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেন তারিক কাজী

বকেয়া বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তারিক কাজী। হঠাৎই আজ সন্ধ্যার পর নিজের ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রামে এই ঘোষণা দেন ফিনল্যান্ডে বেড়ে ওঠা এই ফুটবলার।

২০২১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে নাম লেখান তারিক। সেই থেকে নিয়মিতই খেলে আসছেন লাল–সবুজ জার্সিতে। একাদশে তাঁর জায়গাও পাকা, তাঁকে বাদ দিয়ে কোচ কখনো বাংলাদেশের রক্ষণভাগ সাজানোর কথা ভাবেননি।

বসুন্ধরা কিংসের হয়ে চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন তারিক কাজী

তারিক কাজী বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। সেই থেকে টানা খেলে আসছিলেন এই ক্লাবে। কিন্তু এত দিন ক্লাবের সঙ্গে তাঁর কোনো টানাপোড়েনের খবর শোনা যায়নি। হঠাৎই আজ বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

চুক্তি বাতিল নিয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তারিক লিখেছেন, ‘আজ আমি বকেয়া বেতন পরিশোধ না হওয়ার কারণে আইনগতভাবে আমার চুক্তি বাতিল করেছি বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে।’

তারিক কাজী আরও লিখেছেন, ‘একজন ফুটবলারের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন নীরবতা বহন করা প্রচণ্ড বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি অনিয়মিত ও বিলম্বিত বেতন পরিশোধের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। অনিশ্চয়তার এমন এক সময়, যা আমাকে শুধু একজন পেশাদার হিসেবেই নয়, একজন মানুষ হিসেবেও পরীক্ষা করেছে। এটি শুধু আর্থিক কষ্ট ছিল না, এটি ছিল এক মানসিকচাপ, যা প্রকৃত পেশাদাররা নিঃশব্দে বহন করে। তবু প্রতিদিন আমি একই ভালোবাসা নিয়ে জেগেছি—মাঠে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি আর অন্তরে লড়েছি এক নীরব যুদ্ধ: ভালোবাসা ও অবিচারের মাঝে।’

পুরো সময় যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারিক তাঁর দীর্ঘ স্ট্যাটাসে বলেন, ‘এই পুরো সময় আমি বেছে নিয়েছি ধৈর্য, পেশাদারত্ব ও শ্রদ্ধা; এমনকি, যখন পরিস্থিতি আমার সহ্যের সীমা ছুঁয়ে গিয়েছিল। আমি বিশ্বস্ত থেকেছি ক্লাবের প্রতীকে, সতীর্থদের প্রতি এবং সেই সমর্থকদের প্রতি যাঁরা সব সময় পাশে থেকেছেন। আমার এ সবকিছুই ছিল ভালোবাসার কারণে—ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা, আর সেই মানুষগুলোর প্রতি ভালোবাসা যারা স্টেডিয়াম পূর্ণ করেছে একবুক আশায় ও হৃদয় দিয়ে। আমার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সতীর্থদের, অস্কার ব্রুজন, টিটা ভ্যালেরিউ, মারিও গোমেজসহ পুরো টেকনিক্যাল স্টাফকে, যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন এবং সেই সমর্থকদের, যাঁদের কণ্ঠ আমাকে শক্তি দিয়েছে, যখন সবকিছু অনিশ্চিত মনে হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কিংসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করলেও ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান ফোন ধরেননি।