দেশের জার্সিতে একজন ফুটবলারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়। ২০২২ সালে এনজো ফার্নান্দেজ নিজের খেলা প্রথম আসরেই আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। কাতারে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ও হন এই মিডফিল্ডার।
শুধু বিশ্বকাপই নয়, ফার্নান্দেজ জাতীয় দলের হয়ে ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকাও জিতেছেন। দেশের হয়ে বিশ্ব ও মহাদেশীয় শিরোপা জেতার পর একজন ফুটবলারের আর কী অপূর্ণতা থাকতে পারে! তবে এরপরও আরেকটি স্বপ্নপূরণ বাকি আছে ফার্নান্দেজের। সেটি জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করা। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘গিভমিস্পোর্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এই ইচ্ছার কথা বলেছেন চেলসি মিডফিল্ডার।
ফার্নান্দেজ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই আমি আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্ব করার স্বপ্ন দেখি, কিন্তু সিদ্ধান্তটা আমার হাতে নেই। এটা কোচিং স্টাফের ব্যাপার। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন তো আছেই। কখন হবে, জানি না। সময়ই বলে দেবে। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরতে পারলে সেটা হবে আমার জন্য সম্মানের।’
এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০২২ বিশ্বকাপ জিতেছিল ‘আলবিসেলেস্তা’রা। বড় কোনো নাটকীয়তা না হলে ২০২৬ বিশ্বকাপেও আর্মব্যান্ড থাকবে মেসির হাতে। তবে বিশ্বকাপ শেষে মেসি যদি অবসরে যান তখন নতুন নেতৃত্বের প্রসঙ্গ সামনে আসবে। সে সময় ফার্নান্দেজের স্বপ্ন পূরণ হলেও হতে পারে।
কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপে লিওনেল স্কালোনির দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ফার্নান্দেজ কথা বলেছেন বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা নিয়েও, ‘মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা ছিল অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। আমরা ভীষণ অনুপ্রাণিত ছিলাম, কারণ আমরা লিওকে (মেসি) টিভিতে দেখে বড় হয়েছি এবং তাঁর তখন একটাই অপূর্ণ স্বপ্ন ছিল। সেই মুহূর্তটা তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা এটা তাঁর জন্যই জিততে চেয়েছিলাম; সেটাই ছিল তার একমাত্র বাকি থাকা অর্জন।’
২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পরপর দুইবার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন ফার্নান্দেজ। ইতালি (১৯৩৪–১৯৩৮) ও ব্রাজিলের (১৯৫৮–১৯৬২) পর আর্জেন্টিনা টানা বিশ্বকাপ জিততে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সামনে যা আছে, সেটাতেই মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা জানি এটি মেসির শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে, তাই শিরোপা ধরে রাখতে আমরা সবকিছু করব।’