সম্পর্কে ভাঙন বা বিচ্ছেদের ঘটনায় কেউ কেউ ভেঙে পড়েন। তাঁদের কষ্ট বহু গুণ বেড়ে যায়। এর নেপথ্য কারণ কী? এ বিষয়ে নানা চিন্তাভাবনা থাকলেও মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলছেন, অক্সিটোসিন নামের একটি হরমোনই এ রকম দুঃখের অনুভূতির জন্য দায়ী।যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফেইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি নেচার নিউরোসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো কষ্টের অনুভূতি বা নেতিবাচক সামাজিক অভিজ্ঞতার ফলে তৈরি ভয় ও উদ্বেগের সংবেদনশীলতাকে বাড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অক্সিটোসিনের ভূমিকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট গবেষক ইয়োমায়রা গাজম্যান বলেন, ‘কয়েক দশকের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে অক্সিটোসিনকে সাধারণত কষ্ট লাঘবের অনুঘটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে আমাদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, এই হরমোন মানুষের ভয়ের অনুভূতি কমানোর পরিবর্তে বরং বাড়িয়ে দেয় মূল স্নায়ু ব্যবস্থায় এটা আণবিক পরিবর্তন আনে। নেতিবাচক অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বনে অগ্রগতি অর্জনের এই গবেষণার ফলাফল মানুষের জন্য সহায়ক হতে পারে।’ গবেষকেরা কয়েকটি ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পান, কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জিত হওযার পর থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত স্নায়ুকোষের আণবিক সংকেতকে নিয়ন্ত্রণ করে অক্সিটোসিন হরমোন। সংশ্লিষ্ট শীর্ষ গবেষক অধ্যাপক জেলেনা রাদুলোভিচ বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মস্তিষ্কের আবেগ ও চাপের প্রতি সাড়া প্রদানকারী অংশের মাধ্যমে ওই কোষগুলো নেতিবাচক অনুভূতির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।’ টেলিগ্রাফ।