Thank you for trying Sticky AMP!!

নতুন করে তদন্তের মুখে ফেসবুক

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুক একক আধিপত্য করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের উঠে আসতে বাধা দিচ্ছে কিনা কিংবা ব্যবহারকারীর জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে কিনা তা শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত শুরু হচ্ছে। দেশটির কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিদের একটি জোটের পক্ষে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস নতুন ‘অ্যান্টি-ট্রাস্ট’ তদন্তের ঘোষণা দেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লেটিটিয়া জেমস বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম হলেও তাদের অবশ্য আইন মানতে হবে এবং গ্রাহককে সম্মান দেখাতে হবে।’

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনলাইন সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প মানুষের হাতে রয়েছে।

ওই অঙ্গরাজ্য ও ফেসবুকের স্থানীয় নীতিমালা বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট উইল ক্যাসলবেরি বলেছেন, ‘আমরা জানি যে, আমরা যদি উদ্ভাবন বন্ধ করে দিই তবে মানুষ ফেসবুক ছেড়ে যাবে। আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় সারা বিশ্বে এ প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছি।’

কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, নেব্রাস্কা, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইয়ো, টেনেসি রাজ্যের কর্মকর্তারা এ তদন্তের অংশ হচ্ছেন।

জেমস বলেন, ‘আমরা তদন্তকাজে প্রয়োজনীয় সব ধরনের টুল দিয়ে ফেসবুককে পরীক্ষা করব। গ্রাহকের তথ্য তারা বিপজ্জনক করে তুলেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। গ্রাহকের পছন্দ তারা সীমিত করেছে কিনা বা বিজ্ঞাপনের দাম বাড়িয়েছে কিনা তাও দেখা হবে।’

ফেসবুক ইতিমধ্যে পৃথক আরেকটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের অ্যান্টি ট্রাস্ট তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপক্ষে প্রতিযোগিতা বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিস্তৃত তদন্তের ঘোষণা দেয়।

ফেসবুক এর আগে দাবি করেছিল, তারা একচ্ছত্র আধিপত্য করছে না। অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হতে পারবে গ্রাহক তা পছন্দ করতে পারেন।