Thank you for trying Sticky AMP!!

মঙ্গল গ্রহে নভোযান পাঠাচ্ছে আরব আমিরাত

শিল্পীর দৃষ্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্স মিশন। ছবি: মোহাম্মেদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারের সৌজন্যে

তেলসমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের চোখ এবার মঙ্গল গ্রহের দিকে। পারমাণবিক কর্মসূচি, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর মতো উদ্যোগের পর এবার দেশটি মঙ্গল গ্রহ পর্যবেক্ষণের মতো কাজে যুক্ত হতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে সফল মিশন সম্পন্ন করতে পেরেছে। এ সম্ভ্রান্ত ক্লাবে এবার ঢুকতে যাচ্ছে আরব আমিরাত। চীনও এ মাসেই প্রথমবার মঙ্গলের কক্ষপথে মহাকাশযান পাঠাতে যাচ্ছে।


শেখদের দেশ হিসেবে পরিচিত আমিরাত উঁচু ভবন, বিভিন্ন দ্বীপ ও বিশাল সব আকর্ষণের জন্য খ্যাত। মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান পাঠিয়ে আরব বিশ্বের মধ্যে প্রথম কাতারে আসতে যাচ্ছে তারা।

তাদের ‘হোপ’ নামের বিশেষ মানববিহীন মহাকাশযান ১৫ জুলাই জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে এটি মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছাবে।

এর লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়ামণ্ডলের গতিপ্রকৃতির বিস্তারিত ছবি পাঠানো এবং বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের পথ বের করা। আগামী ১০০ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানববসতি স্থাপনে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেই বিশাল লক্ষ্যের সূচনা এটি।

মঙ্গলের শহর কেমন হতে পারে, তা নিয়ে কাল্পনিক কাঠামো তৈরিতে স্থপতিদের ভাড়া করেছে আমিরাত। স্থপতিরা এর মরুভূমিতে নির্মিতব্য ‘সায়েন্স সিটির’ নকশাও তৈরি করবেন। দুবাই এ জন্য প্রায় ৫০ কোটি দিরহাম ব্যয় করেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমিরাতের নভোচারী হাজ্জা আল-মানসুরি আরবদের মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান। সেখানে তিনি আট দিনের মিশনে ছিলেন। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাখতুম মঙ্গলবার টুইট করেছেন, ‘আমাদের দাদা-পরদাদারা তাঁদের যাত্রার আগে গ্রহনক্ষত্র অনুসরণ করতেন। এখন আমাদের শিশুরা সেখানে ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখে।’