সফটওয়্যারে বাইকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বাইকের সমস্যা দেখা হচ্ছে কম্পিউটারে
বাইকের সমস্যা দেখা হচ্ছে কম্পিউটারে

মোটরবাইকে কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করা, বাইক ঠিকমতো চলছে কি না, তা পরীক্ষা করা যায় ডিজিটাল যন্ত্রে। দেশে ইয়ামাহা থ্রিএস সার্ভিস সেন্টারগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক ডায়াগনসিস ব্যবস্থা।

ব্লু কোর প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় সেন্সর ব্যবস্থা থাকায় বাইকের সমস্যাগুলো নিশ্চিত করার জন্য ইয়ামাহা ডায়গনস্টিক টুল (ওয়াইডিটি) ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাইকের অবস্থা পরীক্ষা করা যায়। ওয়াইডিটির কাজ মানবদেহের ডায়াগনসিসের মতোই।

 কীভাবে কাজ করে

ঢাকার এসিআই ইয়ামাহা থ্রিএস সেন্টারের জ্যেষ্ঠ সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘কোনো সমস্যা দেখা দিলে গ্রাহক তাঁর বাইকটি সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে আসেন। তখন তিনি যদি বাইকের সমস্যা না বুঝতে পারেন, তখন আমরা ওয়াইডিটি সাহায্য নিই। ওয়াইডিটি ব্যবহার করে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাইকের সমস্যা বের করতে পারি। প্রথমে সফটওয়্যারে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর বাইকটির চেসিস নম্বর দিয়ে লগ–ইন করতে হবে। সফটওয়্যারে সার্ভিস সেন্টারে টেকনিশিয়ান তাঁর নাম, কোন ধরনের সার্ভিস করবেন এবং মাইলেজ কত, ইত্যাদি তথ্য যুক্ত করবেন। তারপর পরবর্তী ধাপে যাবেন।’

আটটি সেন্সর দিয়ে বাইকের কোনো সমস্যা আছে কি না, তা পরীক্ষা করবে সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি ডায়াগনোসিসে সাতটি জিনিস পরীক্ষা করবে। এ সাতটি জিনিস ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেটা সফটওয়্যারে দেখা যাবে। যদি কোনো কিছুতে সমস্যা থাকে, তবে লাল রঙের দেখাবে। সেটিও সমাধান করা হবে। পুরো পদ্ধতিটাই প্রতিবেদন আকারে গ্রাহককে দেওয়া হয়।

 ডিজিটাল মনিটর

যাঁরা মোটরবাইক সার্ভিসিং করাতে নিয়ে যান, তাঁদের মধ্যে সব সময় একটা জিজ্ঞাসা বা ভয় থাকে। বাইকটি কত সময়ের মধ্যে ঠিক করে ফেরত দেবে? বাইক থেকে কোনো নতুন যন্ত্রাংশ খুলে পুরাতন যন্ত্রাংশ লাগিয়ে দেওয়া হলো কি না। এসিআই ইয়ামাহা থ্রিএস সেন্টারের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার রাজিয়া সুলতানা জানান, এই কেন্দ্রের প্রতিটি বেতে (লাইনে) একটি করে মনিটর রয়েছে। বেতে বাইক তোলা হলে ওই বাইকের তথ্য পর্দায় দেখা যায়। বাইকটির ক্রমিক নম্বর, জব কার্ড নম্বর, কোন টেকনিশিয়ান কাজ করছেন, কাস্টমারের নম্বর, মোট কত সময় লাগবে, কতটুকু সময় শেষ হয়েছে বা বাইকটি সার্ভিস শেষ করতে আর কতটুকু সময় লাগবে, সবকিছুই ডিজিটাল মনিটরে দেখাবে।