Thank you for trying Sticky AMP!!

১৭ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইয়াহু মেসেঞ্জার

ইয়াহু মেসেঞ্জার

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকের কাছেই ইয়াহু মেসেঞ্জার একটি আবেগের নাম। ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস জনপ্রিয় হওয়ার আগে ইন্টারনেটে পরস্পরের সঙ্গে আলাপ করতে অনেকেই ইয়াহুর এ সেবা ব্যবহার করতেন। কিন্তু ইয়াহু মেসেঞ্জার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি। আগামী ১৭ জুলাই ইয়াহু মেসেঞ্জারকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

যাঁরা এখনো ইয়াহু মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন, তাঁদের ইয়াহুর নতুন গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ স্কুইরেলে পাঠিয়ে দেবে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য নেক্সট ওয়েবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াহু মেসেঞ্জারে যাঁদের চ্যাট হিস্টরি আছে, তা ডাউনলোড করে নিতে ছয় মাস সময় পাবেন।

মাস ধরে স্কুইরেল নামের গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু করেছে ইয়াহু। ইয়াহু মেসেঞ্জার বন্ধ হলে এটি উন্মুক্ত হবে। যাঁরা স্কুইরেল ব্যবহারে আগ্রহী, তাঁরা পরীক্ষামূলক অ্যাপটি চালাতে পারবেন।

১৯৯৮ সালে ইয়াহু মেসেঞ্জার চ্যাটসেবা চালু হয়। প্রযুক্তি বিশ্বে যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। তবে গুগল টক, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবাগুলোর সঙ্গে কোনোভাবে পেরে উঠছিল না এটি। ক্রমে ব্যবহারকারী কমছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে অ্যাপ্লিকেশনটি জনপ্রিয় করার আরেকটি প্রচেষ্টা চালানো হয়।

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে নতুন অ্যাপ আনার পাশাপাশি ওয়েব সেবাটিও হালনাগাদ করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে পুরোনো মেসেঞ্জার বাদ দিয়ে ইয়াহু মেসেঞ্জারের নতুন সংস্করণ ছাড়া হয়েছিল। তাতে নতুন নকশা, নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু এখনকার হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটের যুগে ইয়াহু মেসেঞ্জার সাড়া জাগাতে পারেনি। ডেস্কটপ যুগের সফটওয়্যার হিসেবে ইয়াহু অ্যাপ বা গুগল হ্যাংআউটসের মতো সেবাগুলোকে পেছনে ফেলে মোবাইল যুগের অ্যাপ্লিকেশনগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে।

ইয়াহু কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন সেবা নিয়ে হাজির হবে ইয়াহু। তবে ইয়াহু মেসেঞ্জার বন্ধ হলেও তার কোনো প্রভাব ইয়াহু মেইল ব্যবহারকারীদের ওপর পড়বে না।

উল্লেখ্য, ইয়াহু বর্তমানে ভেরিজন কমিউনিকেশনের ওথ ইনকরপোরেশনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে ৪৪৮ কোটি মার্কিন ডলারে ইয়াহুকে কিনে নেয় ভেরিজন।