জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ৫৫০ কর্মী ছাঁটাই করেছে নাসা
জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির  ৫৫০ কর্মী ছাঁটাই করেছে নাসা

নাসায় ৫৫০ কর্মী ছাঁটাই, হুমকির মুখে গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন

গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন ও কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) ৫৫০ কর্মী ছাঁটাই করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থাটির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন ও কর্মসূচি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির পরিচালক ডেভ গ্যালাঘার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জেপিএলকে ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে আমরা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংস্থার কর্মিসংখ্যা পুনর্নির্ধারণ ও কিছু পদে ছাঁটাই করা হচ্ছে।

জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি থেকে পারসিভিয়ারেন্স রোভার, মার্স স্যাম্পল রিটার্ন প্রোগ্রাম এবং মার্স রিকনাইসান্স অরবিটার মহাকাশ মিশন পরিচালনা করে থাকে নাসা। শুধু তা–ই নয়, ইউরোপা ক্লিপার মিশন, গ্রহাণু অনুসন্ধানকারী ‘সাইক’ প্রোব এবং মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক’ কর্মসূচির কার্যক্রমও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর তাই একসঙ্গে এত বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন ও কর্মসূচিগুলোর কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেপিএলের সাবেক রোভার অপারেটর কেভিন হিকস দাবি করেছেন, পারসিভিয়ারেন্স রোভার টিমের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের যে প্রচেষ্টা চলছে, পারসিভিয়ারেন্স মিশন ছিল তার শেষ দিকের একটি ধাপ। তবু এর কর্মীদের বড় অংশকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।

ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা নাসার প্রযুক্তি, ব্যবসা ও সহায়তাসংক্রান্ত বিভাগে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ডেভ গ্যালাঘার। এ বিষয়ে তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়, কিন্তু জেপিএলের টিকে থাকা ও ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য আরও দক্ষ কাঠামো তৈরি করা অত্যাবশ্যক। বিদায়ী কর্মীদের কাজ আমাদের মহাকাশ অনুসন্ধান ও উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করেছে।

জেপিএলের রেডিট ফোরামে অনেক কর্মী তাদের চাকরি হারানোয় হতাশা প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, আমরা ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি, শেষ দিনে জেপিএলের লোগোর সামনে একসঙ্গে ছবিও তুলেছি। কিন্তু মনে হচ্ছিল, যেন ‘বিচ্ছেদের আগের দিন’ চলছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল