মানুষের মন পড়ার প্রযুক্তি এনেছেন বিজ্ঞানীরা
মানুষের মন পড়ার প্রযুক্তি এনেছেন বিজ্ঞানীরা

মনের কথা লিখে দেবে এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে প্রথমবারের মতো মানুষের মন পড়ার প্রযুক্তি এনেছেন বিজ্ঞানীরা। এ প্রযুক্তির সাহায্যে সেন্সরযুক্ত একটি হেলমেট পরলে মানুষের মস্তিষ্কে থাকা ভাবনাকে শব্দে রূপান্তর করে লিখে দেবে এআই। হেলমেটে থাকা সেন্সর মানুষের মস্তিষ্কের ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম শনাক্ত করে তার ভাবনাকে শব্দে রূপান্তর করবে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির একদল গবেষক এ প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছেন। তাঁরা বলছেন, যেসব রোগী কথা বলতে অক্ষম বা স্ট্রোক ও পক্ষাঘাতের কারণে যাঁদের কথা বলতে সমস্যা, তাঁদের চিকিৎসায় এ প্রযুক্তি সহায়ক হবে। প্রযুক্তিটির একটি নমুনা প্রদর্শনীও হয়েছে। সেই প্রদর্শনীর ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মানুষকে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ভাবার কথা বলা হয়েছে। তিনি যা ভাবছেন, সেটিই পর্দায় লিখিত আকারে দেখা যাচ্ছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের ভাবনাকে ডিকোড করেছে। মানুষের ভাবনা ও লিখিত বর্ণনার খানিকটা পার্থক্য থাকলেও মূল ভাব একই রকম।

এ গবেষক দলের প্রধান গবেষক সিটি লিন বলেন, এই গবেষণা ইইজি তরঙ্গকে সরাসরি ভাষায় অনুবাদ করার ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী প্রচেষ্টা। এ ক্ষেত্রে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনেছে। ‘ব্রেন টু টেক্সট’ ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়ায় নিউরাল ডিকোডিংয়ে এটি একটি নতুন কৌশলও যোগ করেছে। লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল এ প্রযুক্তিতে যুক্ত হওয়ায় স্নায়ুবিজ্ঞান ও এআই নিয়ে নতুন কাজের পথ উন্মোচিত হয়েছে।
প্রযুক্তিটি যাচাইয়ের জন্য লিন ও তাঁর দল ২৯ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে একটি লিখিত কাগজ দেওয়া হয়। কাগজে লেখা বাক্য নিয়ে তাঁদের ভাবতে বলা হয়। পরে কাগজে লেখা বাক্যের প্রায় অনুরূপ বাক্যই পর্দায় দেখা গেছে। যাচাইকারীদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে এই রূপান্তরের যথার্থতা ৪০ শতাংশ।

এর আগে মস্তিষ্কের সংকেতকে শব্দে রূপান্তর করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কে ইলেকট্রোড স্থাপন করতে হতো, যার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। ইলন মাস্কের নিউরালিংক এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। এ ছাড়া এমআরআই মেশিন দিয়ে স্ক্যানও করতে হতো।

সূত্র: ডেইলি মেইল