নতুন এআই মডেল আনতে যাচ্ছে মেটা, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে নতুন এআই মডেল তৈরি করছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার ওয়াংয়ের নেতৃত্বে একাধিক নতুন এআই মডেল উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে মেটার ‘সুপারইন্টেলিজেন্স ল্যাব’।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা ‘ম্যাঙ্গো’ কোডনামে একটি নতুন ছবি ও ভিডিওভিত্তিক এআই মডেল এবং ‘অ্যাভোকাডো’ নামে একটি টেক্সটভিত্তিক মডেল তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের শুরুতে মডেলগুলো উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি মেটার নতুন এআই রোডম্যাপ তুলে ধরে আলেক্সান্ডার ওয়াং জানান, নতুন টেক্সটভিত্তিক মডেলটিকে কোডিং ও সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজে আরও দক্ষ করে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। একই সঙ্গে এমন ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’ নিয়ে কাজ চলছে, যা দৃশ্যমান তথ্য বুঝতে পারবে এবং যুক্তি, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবে। এর জন্য সব সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিযোগিতায় ওপেনএআই, অ্যানথ্রোপিক ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে মেটা। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির এআই বিভাগে বড় ধরনের পুনর্গঠন হয়েছে। এ সময় শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক গবেষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে মেটা সুপারইন্টেলিজেন্স ল্যাবে যোগ দেওয়া কয়েকজন গবেষক ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে গেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন নিজস্ব একটি স্টার্টআপ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি ছাড়ার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত মেটার কোনো এআই পণ্য বাজারে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করতে পারেনি। মেটা এআই সহকারীর ব্যবহারকারীর সংখ্যা মূলত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর ওপর নির্ভর করছে। এসব অ্যাপের অনুসন্ধান বারে এআই সহকারী যুক্ত করেই ব্যবহার ধরে রাখা হচ্ছে।

সূত্র: