চ্যাটজিপিটি
চ্যাটজিপিটি

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনের তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন

চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কথোপকথনের তথ্য আর পুরোপুরি ব্যক্তিগত থাকছে না। সহিংসতা বা গুরুতর হুমকির আশঙ্কা ধরা পড়লে, সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওপেনএআই। সম্প্রতি এক ব্লগ বার্তায় নীতিগত এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কথোপকথনের তথ্য প্রথমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান করা হয়। নতুন এ নীতিমালার আওতায় কোনো বার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তা বিশেষজ্ঞদের একটি দলের কাছে পাঠানো হবে। বিশেষজ্ঞরা যদি মনে করেন, কারও প্রতি তাৎক্ষণিক সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে, তাহলে সেই তথ্য সরাসরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

নীতিমালা পরিবর্তনের অল্প কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানকার বাসিন্দা স্টেইন এরিক সোলবার্গ নিজের মাকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন। অভিযোগ উঠেছে, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে তাঁর অস্বাভাবিক সম্পর্কই এ ঘটনার পেছনে ভূমিকা রেখেছিল। সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে নিজের ‘সেরা বন্ধু’ মনে করতেন। এমনকি তিনি চ্যাটবটকে ‘ববি জেনিথ’ নামে ডাকতেন। তাঁর সংরক্ষিত আলাপচারিতার স্ক্রিনশটে দেখা যায়, চ্যাটজিপিটি তাঁর বিভ্রম ও ষড়যন্ত্রমূলক ধারণাকে সমর্থন করেছে। এমনকি মায়ের বিরুদ্ধে বিষপ্রয়োগের অভিযোগেও তাঁকে আশ্বস্ত করেছিল এআই। ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে মনোরোগ–বিশেষজ্ঞ কিথ সাকাতা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, কথোপকথনগুলো মানসিক বিকারের লক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়।

নতুন নীতিমালা ওপেনএআইয়ের কার্যক্রমকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। কারণ, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কথোপকথনের তথ্য প্রকাশ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিলেও হুমকিমূলক বার্তা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে নতুন নীতিমালায়। তবে আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করার মতো সংবেদনশীল তথ্য পুলিশকে জানানো হবে না। ওপেনএআই বলছে, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া