
স্মার্টফোনে ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করেন অনেকে। কেউ আবার নিয়মিত অর্থও লেনদেন করেন। আর তাই ব্যবহারকারীদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করতে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম বা সিগন্যালের মতো নিরাপদ অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে ‘স্টারনাস’ ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাচ্ছে একদল সাইবার অপরাধী। ক্ষতিকর এপিকে ফাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্টারনাস ম্যালওয়্যার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরির পাশাপাশি মেসেজিং অ্যাপে পাঠানো বার্তাও পড়তে পারে।
স্টারনাস ম্যালওয়্যারটি শনাক্ত করেছেন এমটিআই সিকিউরিটির একদল গবেষক। তাঁদের মতে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে অন্যদের পাঠানো বার্তা পর্দায় প্রদর্শিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি পড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে স্টারনাস ম্যালওয়্যারের। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম বা সিগন্যালের মতো নিরাপদ অ্যাপগুলোতে অন্যদের পাঠানো বার্তাও ম্যালওয়্যারটি পড়তে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাপে প্রবেশ করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভুয়া লগইন পেজ প্রদর্শন করে থাকে ম্যালওয়্যারটি। ভুয়া পেজটিতে লগইন তথ্য লিখলেই তা সরাসরি সাইবার অপরাধীদের কাছে চলে যায়। শুধু তা–ই নয়, অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম হালনাগাদের প্রলোভনে পুরো স্মার্টফোনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে স্টারনাস ম্যালওয়্যার।
স্টারনাস ম্যালওয়্যারের বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান থ্রেট ফ্যাব্রিক জানিয়েছে, ম্যালওয়্যারটির ভবিষ্যতে বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মেসেজিং অ্যাপে পাঠানো ক্ষতিকর অ্যাটাচমেন্ট থেকে ম্যালওয়্যারটি স্মার্টফোনে ছড়িয়ে পড়ছে। ফোনে প্রবেশের পর ম্যালওয়্যারটি গুগল ক্রোমসহ জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যাপের আদলে ভুয়া আইকন তৈরি করে লুকিয়ে থাকে।
গুগল জানিয়েছে, গুগল প্লে স্টোরে এখন পর্যন্ত স্টারনাস ম্যালওয়্যারযুক্ত কোনো অ্যাপ পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্লে প্রোটেক্ট সুবিধা ডিফল্টভাবে সক্রিয় থাকায় কোনো অ্যাপে ম্যালওয়্যার থাকলে তা দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। প্রয়োজনে অ্যাপের ইনস্টলেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ