Thank you for trying Sticky AMP!!

শপ–আপের সংবাদ সম্মেলন, আজ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে

৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রির মাইলফলক ছুঁয়েছে শপ-আপ

দেশের অন্যতম সরবরাহ সেবা রেডএক্স এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ই-কমার্স সাইট মোকামের মূল প্রতিষ্ঠান শপ-আপ চলতি বছর চার হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রির মাইলফলক অর্জন করেছে। এই বিক্রি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন শপ-আপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আফিফ যুবায়ের জামান। সম্মেলনে শপ-আপের প্রধান কৌশলগত উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) হামিদ আর চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শপ-আপের ব্র্যান্ড ও যোগাযোগ পরিচালক মোহাম্মদ রাকিবুদ্দৌলা চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে বড় ব্র্যান্ডগুলোর আনাগোনা থাকলেও দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ কেনাকাটা সম্পন্ন হয় স্থানীয় মুদিদোকানের মাধ্যমে। ফলে নতুন কোনো পণ্যের উৎপাদন হলে তা দেশের সর্বত্র গিয়ে পৌঁছে দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়’। এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে শপ-আপ।

শপ-আপের প্রতিষ্ঠাতা আফিফ যুবায়ের জামান বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষুদ্র উৎপাদক ও কৃষকেরা ভালো মানের পণ্য উৎপাদন করেও তা পারছেন না। শপ-আপের মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষক ও উৎপাদকের মেলবন্ধন ঘটিয়ে থাকি।’

সারা দেশে শপ-আপের নিজস্ব হাব রয়েছে ৪২৭টি। এগুলোর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

শপ-আপের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আফিফ যুবায়ের জামান জানান, তাদের হাবগুলোয় কাজ করছেন ৭ হাজার কর্মী, যাঁরা দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে আসছেন। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাকে সেবার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে শপ-আপ।

পাশাপাশি নতুন একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছে শপ-আপ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অঙ্কুর’। এটির মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংকঋণ পাওয়ায় সহায়তা করা হবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অঙ্কুরের যাত্রা শুরু হবে।