আমাদের পৃথিবীতে নানা ধরনের পাথর দেখা যায়। প্রবালের মতো পাথরের ছবি মঙ্গলবুকে ধারণ করেছে রোভার কিউরিওসিটির রিমোট মাইক্রো ইমেজার। নাসার কিউরিওসিটি মার্স রোভার সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে একটি পাথরের কালো ও সাদা ছবি পাঠিয়েছে। সে পাথরটি দেখতে আমাদের পৃথিবীতে পাওয়া প্রবালের টুকরার মতো। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা–নাসা জানিয়েছে, হালকা রঙের পাথরটি বাতাসের কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। শিলাটি মঙ্গল গ্রহের অববাহিকা গ্যাল ক্রেটারে নামের খাদে পাওয়া গেছে। শিলাটি প্রায় এক ইঞ্চি প্রশস্ত। সমুদ্রের তলদেশে সাধারণভাবে দেখা প্রবালের মতো শাখা–প্রশাখা দেখা যাচ্ছে।
আবিষ্কৃত প্রবালসদৃশ শিলাটি ১০০ কোটি বছরের পুরোনো বলে মনে করছে নাসা। শিলাটির বর্ণহীন ছবিটি কিউরিওসিটির রিমোট মাইক্রো ইমেজারের মাধ্যমে তোলা হয়েছে। এটি একটি উচ্চ রেজল্যুশনের টেলিস্কোপিক ক্যামেরা। নাসা জানিয়েছে, কিউরিওসিটি রোভার এমন ধরনের অনেক ছোট ছোট বৈশিষ্ট্যের শিলা খুঁজে পেয়েছে। এসব শিলা কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গলে তরল পানির অস্তিত্ব থাকাকালীন তৈরি হয়েছিল। পানির কারণে দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ পাথরের ফাটলে সংরক্ষিত হয়েছে। পরে পানি শুকিয়ে গেলে পাথর শক্ত খনিজকে ধারণ করেছে। বাতাসের কারণে শিলাপাথরটি ক্ষয় হতে হতে এখনকার রূপ পেয়েছে। পৃথিবীতে এসব শিলা ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
এর আগে নাসার কিউরিওসিটি রোভার গত মাসে একই রকম দেখতে আরও একটি বস্তু আবিষ্কার করেছিল। পাপোসো ডাকনাম দেওয়া হয় সেই শিলার। সেই শিলার আকার প্রায় ২ ইঞ্চি। কিউরিওসিটি ২০১২ সালে মঙ্গলে অবতরণ করেছে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির নেতৃত্বে রোভারটি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ স্ক্যান করার মাধ্যমে সুদূর অতীতের তথ্য সংগ্রহ করছে। এখন পর্যন্ত কিউরিওসিটি ১৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খাদের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। চলার পথটি আঁকাবাঁকা হওয়ার কারণে ধীরভাবে কাজ করছে রোভারটি।
সূত্র: এনডিটিভি