Thank you for trying Sticky AMP!!

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান (মাঝে)।

অক্টোবর থেকে ই-নামজারি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ক্যাশলেস: ভূমিসচিব

মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং জটিলতা এড়াতে আগামী অক্টোবর মাস থেকে সারা দেশে নগদ মুদ্রা ছাড়া সম্পূর্ণ ক্যাশলেস (ডিজিটাল লেনদেন) পদ্ধতিতে ই-নামজারি ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ভূমিসচিব আরও বলেন, ‘ই-নামজারি আবেদন ও নোটিশ ফির মতো নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহের ফিও অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফি নগদ অর্থে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে একটি পরিপত্র আমরা ইতিমধ্যে জারি করেছি। আমরা চাইছি, নামজারির জন্য কোনো ব্যক্তির যেন কোনোভাবেই ১ হাজার ১৭০ টাকার বেশি অর্থ খরচ না হয়। এ ছাড়া ডিসিআর ও খতিয়ানের কোনো ত্রুটি সংশোধনের জন্যও আমরা কোনো অর্থ নেব না।’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

Also Read: অনলাইনে সহজেই জমির নামজারি

বর্তমানে ই-নামজারি আবেদন ফি (কোর্ট ফি) ২০ টাকা ও নোটিশ ফির (নোটিশ জারি ফি) ৫০ টাকা আবেদনের সময়ই অনলাইনে দিতে হয়। তবে রেকর্ড সংশোধন ফি ১ হাজার টাকা ও খতিয়ান সরবরাহ ফি ১০০ টাকা অনলাইন বা সরাসরি নগদ অর্থের মাধ্যমে দেওয়া যায়। আগামী অক্টোবর থেকে এই দুটি ফিও নগদের বদলে অনলাইনে দিতে হবে। ফলে ই-নামজারির জন্য ১ হাজার ১৭০ টাকাই অনলাইনে দিতে হবে। ই–নামজারি করা যাবে https://land.gov.bd ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। আর যেকোনো প্রয়োজনে ১৬১২২ হটলাইনে ফোন করে সহযোগিতা নেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহের জন্য মোট ১ হাজার ১০০ টাকা অনলাইন বা সরাসরি নগদ অর্থের মাধ্যমে গ্রহণ করায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এই জটিলতা দূর করতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে রেকর্ড সংশোধন এবং খতিয়ান সরবরাহ ফি শুধু অনলাইনে গ্রহণ করা হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, ডিসিআর ও খতিয়ানের কোনো ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না। একইভাবে না-মঞ্জুরকৃত কোনো নামজারি আবেদন পুনরায় চালু হলে ওই আবেদন মঞ্জুরের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ মোট ১ হাজার ১০০ টাকা দিতে হবে।

সভায় ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান অমিতাভ সরকার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।