Thank you for trying Sticky AMP!!

অপরাধী কম, তাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারাগার

সুইডেনের কুমলা কারাগারের একটি সেল

সুইডেনে কারাবন্দীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যাচ্ছে। কারাগারে নেই বন্দী। অনেক কারাগার ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় দেশটির কর্তৃপক্ষ চারটি কারাগার বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। বন্দীসংখ্যা কমার কারণে চারটি কারাগার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে নভেম্বরে ঘোষণা দেন কারা বিভাগের প্রধান নিলস ওবার্গ।
উদার ও প্রগতিশীল বৈশিষ্ট্যের জন্য সুইডিশ কারাগারগুলোর খ্যাতি বেশ পুরোনো। দেশটির কারাগারে ২০০৫ সালে সাদ্দাম হোসেনকে স্থানান্তরের অনুরোধ করা হলেও কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। কিন্তু সুইডিশ কারাগারগুলো অপরাধীদের প্রতি অতি নমনীয় কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
সুইডেনে ২০১১ ও ২০১২ সালে অপরাধ কর্মকাণ্ডের হার না কমলেও কারাবন্দীর সংখ্যা ছয় শতাংশ কমেছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা সাড়ে চার হাজারের সামান্য বেশি। এ সংখ্যা আগামী দু-এক বছরে আরও কমবে। এই পরিস্থিতি বিস্ময়কর বলে ওবার্গ স্বীকার করেন। তবে কারাগারগুলো সচল রাখার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, পুনর্বাসন ও কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যাতে আবার অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়াতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় হয়তো এখন কারাগারের প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে।
সুইডেনের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কুমলা কারাগারের অবস্থান রাজধানী স্টকহোম থেকে ১৩০ মাইল পশ্চিমে। ওই কারাগারের গভর্নর কেনেথ গাস্টাফসন বলেন, আধুনিক কারাব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভিন্ন। তিনি ১৯৭৮ সালে একজন তরুণ কারা কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর চাকরিজীবনের শুরুর দিকে কারাবন্দীদের প্রতি সর্বোচ্চ মানবিক আচরণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হতো। তবে ২০০৪ সালে বেশ কয়েকজন আলোচিত বন্দী পালিয়ে যাওয়ার পর ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সুইডেনে সাজার ধরনও তুলনামূলক কম কঠোর। সবচেয়ে গুরুতর অপরাধীদের কারাদণ্ডও কদাচিৎ ১০ বছর অতিক্রম করে। যাবজ্জীবন সাজা পেলেও তা কমিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে কারাভোগের আবেদন জানানোর সুযোগ রয়েছে। গার্ডিয়ান।