Thank you for trying Sticky AMP!!

জাপানের নতুন নেতা ইউশিহিদে সুগা।

ইউশিহিদে সুগা জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উত্তরসূরি বেছে নিল জাপান। আজ সোমবার আবের প্রশাসনের মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ৭১ বছরের ইউশিহিদে সুগা দেশটির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাস্থ্যগত কারণে শিনজো আবে গত মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, আবের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ইউশিহিদে সুগা। তিনি আবের নীতি অনুযায়ী দেশ পরিচালনার কাজ করবেন। স্ট্রবেরিচাষির ছেলে সুগা প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

এএফপির খবরে জানা যায়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতাদের ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের মোট ৫৩৪ ভোটের মধ্যে ৩৭৭ ভোটে জয়ী হন সুগা। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিগেইরু ইশিবা ও এলডিপির নীতিনির্ধারণী–প্রধান ফুমিও কিশিদা অনেক ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। ইশিবা মাত্র ৬৮ ভোট পান। আর কিশিদা পান ৮৯ ভোট।

কে এই ইউশিহিদে সুগা?

টোকিওর সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ও ডিন কোইচি নাকানো বিবিসিকে বলেন, শিনজো আবেকে ছাড়াই আবের প্রশাসন পরিচালনা করতে পারবেন বলেই ইউশিহিদে সুগাকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। কর্মঠ ও বাস্তববাদী নেতা হিসেবে সুগার উজ্জ্বল ভাবমূর্তি রয়েছে। এলডিপির মধ্যেও সুগা যথেষ্ট জনপ্রিয়।

স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন শিনজো আবে।

আবের উত্তরসূরি পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন কিশিহিদা ফুমিও। তিনি আবের প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সুগার তুলনায় ৬৩ বছরের ফুমিওর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা বেশি। তবে তাঁর প্রতি বিদায়ী শিনজো আবের সমর্থন কম ছিল।

আরেক পরাজিত প্রার্থী শিগেরু ইশিবা এলডিপির সাবেক মহাসচিব। আবের মন্ত্রিসভায় একসময় তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ৬৩ বছরের ইশিবার সঙ্গে আবের যথেষ্ট দূরত্ব ছিল। আবের পদত্যাগের পর তিনি নতুনভাবে সবকিছু শুরু করার প্রত্যাশা করেছিলেন।

২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তাঁরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারেন।

জাপানের পরিস্থিতি

নেতৃত্ব বদলের এই সময়টা জাপানের জন্য কঠিন। করোনার সংক্রমণ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে জাপান সরকার। করোনার কারণে জাপানে অর্থনৈতিক মন্দা রেকর্ড ছুঁয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের আগেও জাপানে অর্থনৈতিক মন্দা ও প্রবৃদ্ধির ধীরগতি ছিল।

জাপানে যুদ্ধপরবর্তী সংবিধান সংস্কারে সরকারি পরিকল্পনাও অসমাপ্ত রয়েছে। আবে জাপানের সেনাবাহিনীকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে সাংবিধানিক ধারায় বদল আনতে চেয়েছিলেন। জাপানের সেনাবাহিনী এখন সেলফ ডিফেন্স ফোর্স নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক সামরিক ম্যান্ডেটে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয় জাপানের সেনাবাহিনীকে। ইউশিহিদে সুগার নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন এসব প্রকল্প স্থিতিশীল রাখতে পারবে।