Thank you for trying Sticky AMP!!

টাক সমস্যার সম্ভাব্য নতুন চিকিৎসা

ছবি: রয়টার্স

টাক সমস্যার সম্ভাব্য নতুন চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে। হাড়ক্ষয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। গতকাল বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

গবেষণাগারে গবেষকেরা দেখেছেন, ওই ওষুধ চুলের গ্রন্থি কোষের ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলে এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত ও টাক সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. নাথান হকশো বলেন, যাঁরা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ওষুধ কার্যকর হতে পারে।

টাক সমস্যার সমাধানে বর্তমানে দুটি ওষুধ প্রচলিত রয়েছে। তবে ওষুধ দুটি সব সময় খুব একটা কার্যকর নয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় ওষুধ দুটি যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হয় না। কাজেই দেশটিতে চুল পড়ার সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চুল প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচারে হয়।

নতুন গবেষণা প্রতিবেদনটি পিএলওএস বায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষাগারে চুল প্রতিস্থাপন করা ৪০ জনেরও বেশি রোগীর মাথার চুলের গ্রন্থি কোষ নিয়ে গবেষণাটি চালানো হয়েছে। গবেষক ড. হকশো বিবিসিকে বলেন, এই চিকিৎসা কার্যকরী এবং মানুষের জন্য নিরাপদ কি না, তা দেখার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন।

যুক্তরাজ্যের ত্বক বিশেষজ্ঞদের অ্যাসোসিয়েশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি খুবই আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা। কেননা, গবেষকেরা বলছেন, চুল পড়া একটি অতি সাধারণ ব্যাধি। এই ব্যাধি আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস কমানোসহ মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তবে চুল পড়ার ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারের আগে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চুল পড়ার ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবার জন্য একই চিকিৎসা কার্যকরী নয়। এ কারণ নতুন চিকিৎসা সব সময়ই আগ্রহ উদ্দীপক। কেননা, এতে মানুষ চিকিৎসার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ পায়।