দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের ৫ নেতা

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া নেতাদের তালিকায় যুক্ত হলো আরও পাঁচ বিধায়কের নাম। এই পাঁচ বিধায়ক শনিবার নয়াদিল্লি গিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

বৈশালী ডালমিয়া।

তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া এই পাঁচজন হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায় ও রথীন চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন।

এই নেতাদের নয়াদিল্লি যেতে শনিবার কলকাতায় বিশেষ বিমান পাঠায় বিজেপি। তাতে চেপেই দিল্লি বিমানবন্দর নামেন তাঁরা। বিমানবন্দর থেকে সোজা অমিত শাহর বাড়িতে চলে যান নেতারা। সেখানে সন্ধ্যার পর এক অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁরা।

অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরে রোববার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে এসব নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় রাজীব-প্রবীরদের বিমানে করে দিল্লি নিয়ে যায় বিজেপি। দিল্লিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণ ঘটনার জেরে অমিত শাহর কলকাতা সফর স্থগিত করা হয়।

রুদ্রনীল ঘোষ।

অমিত শাহের সফর স্থগিত হওয়ার খবরে ক্ষোভ ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুর নগরের মতুয়া আশ্রমে। শনিবার দুপুরে এই আশ্রমে আসার কথা ছিল তাঁর। এখানে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না আসায় মতুয়ারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। তাদের শান্ত করতে ছুটে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয় বর্গীয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায় এবং বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এসব ঘটনার জেরে অমিত শাহ জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতায় আসবেন।

পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে শুরু হয়েছে ভাঙন। পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বাইরে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়েছেন।