শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশ হাইতিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি স্থানীয় সময় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে হাইতির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
হাইতির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সির পক্ষ থেকে দেয়া হতাহতের হালনাগাদ তথ্যের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।
এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।