গাড়ি যখন ভালুকের নিয়ন্ত্রণে
গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই ভালুকের কীর্তিকলাপ নিয়ে নানা খবর বেরোয়। আর এসব খবরের বড় একটা অংশই যুক্তরাষ্ট্রের। কয়েক দিন আগেও সেখানকার এক অতিকায় ভালুকের কাণ্ডকারখানা নিয়ে সংবাদ হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। বাসাবাড়ির দরজা বা জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব তছনছ করত সেটি। ভালুকটিকে ঠেকাতে রীতিমতো মাঠে নামতে হয় সেখানকার পুলিশকে। এবার জানা গেল আরেক ভালুকের কাণ্ডের কথা।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউপিআই গত শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, মনটানা অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতি নতুন গাড়ি কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন। এ সময় তাঁদের গাড়িটি রেড লজ শহরের বাসার বাইরে পার্ক করা ছিল। তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁদের গাড়ি একটি ভালুকের ‘দখলে’।
মাইক পিলাটি ও মারিয়া পিলাটির বাড়িতে ঘটে এই ঘটনা। তাঁরা জানান, ঘটনাটি ছিল গত বুধবার রাতের। মা ভালুকটি যখন গাড়ির ভেতরে ছিল, তখন তার বাচ্চাগুলো ওই গাড়ির কাছাকাছিই ছিল।
মাইক বলেন, বিষয়টি তাঁরা প্রথমে পুলিশ বিভাগকে জানান। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে এই দম্পতিকে মনটানার মৎস্য ও বন্য প্রাণিবিষয়ক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। তখন ওই কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সকালে তারা কাউকে সেখানে পাঠাবে।
মাইক জানান, এভাবে সকাল পর্যন্ত প্রায় আট ঘণ্টা চলে যায়। একপর্যায়ে মৎস্য ও বন্য প্রাণিবিষয়ক কার্যালয়ের কর্মীর ভরসায় না থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে লাঠি দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দেন তিনি। তখন ভালুকটি গাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। মারিয়া ওই ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, গাড়ির ভেতরকার সবকিছু তছনছ করে ফেলেছে ভালুকটি।
আরও পড়ুন
-
অসত্য তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বানিয়েছিলেন আজিজ আহমেদের ভাই হারিছ ও জোসেফ
-
আজিজ আহমেদ বললেন, নিষেধাজ্ঞার ঘটনা সরকারকেও কিছুটা হেয় করে
-
আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
-
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে যেভাবে দেশ ছেড়েছিলেন আজিজ আহমেদের ভাই জোসেফ