Thank you for trying Sticky AMP!!

গত এপ্রিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নাতানজের পারমাণবিক স্থাপনায় নাশকতার অভিযোগ করে ইরান।

আলোচনা বানচাল করতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল: ইরান

ইরান গত মাসে তেহরানের কাছের একটি স্থাপনায় হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে। ওই স্থাপনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তেহরানের অভিযোগ, ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের করা পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রক্রিয়া বানচাল করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ইরানের সরকারে মুখপাত্র আলি রাবেই মঙ্গলবার বলেন, ‘গত ২৩ জুন কারাজে ইরানের পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থার দপ্তরে হামলার ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত।’ ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এ হামলার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে সমঝোতা বন্ধ করতে বিশ্বকে ইঙ্গিত দিচ্ছে ইসরায়েল।’

তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। ওই চুক্তি পুনর্বহাল করতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠক হয়।

সমঝোতার উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি চুক্তি হতে পারে।

কিন্তু ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে আসছে, এই চুক্তি হলে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। আর তখন ইরান বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেব।

এক বছরের কম সময়ের মধ্যে গত এপ্রিলে নাতানজে পারমাণবিক স্থাপনায় দ্বিতীয় দফা নাশকতার অভিযোগ করে ইরান। ওই ঘটনায় ইসরায়েলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ইরান। এরপর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়ে দেয় তেহরান।

ইরান সরকারের মুখপাত্র রাবেইলি বলেন, কারাজের স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি এবং যন্ত্রপাতিরও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ইরানের নিরাপত্তা সংস্থা–সংশ্লিষ্ট এক ওয়েবসাইটে হামলার বিষয় নিয়ে বলা হয়, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী ওই নাশকতার চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে।