কাবুলে বিমানবন্দর চালু করতে তালেবানের পাশে কাতার

হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তালেবানের সদস্যরা। আফগানিস্তান, কাবুল, ৩১ আগস্ট
ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি পুনরায় দ্রুত চালু করতে তালেবানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে উপসাগরীয় দেশ কাতার। ৩১ আগস্ট মার্কিন বাহিনী কাবুলের বিমানবন্দর ত্যাগের পর সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।

এরপর বিদেশি প্রথম কোনো ফ্লাইট হিসেবে কাতার থেকে গতকাল বুধবার কাবুলে উড়োজাহাজ আসে। তালেবানকে সহায়তায় বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টারে করে প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ একটি দলকে পাঠায় সম্পদশালী দেশটি।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি বলেন, ‘আমরা এখনো আশাবাদী যে খুব শিগগির আমরা এটি পরিচালনা করতে পারব।’

শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ...যে তালেবান আফগানিস্তানের মানুষের নিরাপদে আসা-যাওয়ার সুযোগ ও চলাচলের স্বাধীনতার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা তারা রক্ষা করবে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে আমরা ভালো কিছু শুনব।’

শেখ মোহাম্মদ বলেন, বিমানবন্দর খোলার প্রসঙ্গে তুরস্ককে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা চলছে। তুরস্ক প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে বলে আশা তাঁর।

তুরস্ক আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বিমানবন্দর নিয়ে তালেবানসহ অন্যদের কাছ থেকে যেসব প্রস্তাব পেয়েছে, সেগুলো ‘পর্যালোচনা’ করে দেখছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, বিমানবন্দরের ‘ভেতর ও বাইরের’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

একজন আফগান সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা কাতারের গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, কাবুল দ্রুতই বিমানবন্দর চালু করবে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হবে। আর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে কিছুটা সময় লাগবে।
কাতারের রাজধানী দোহাতে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় দেশটি তালেবান, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার আয়োজন করে।

বিমানবন্দরে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ (মাঝে)। কাবুল, আফগানিস্তান, ৩১ আগস্ট

কাবুল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বিমানবন্দরটিতে মাত্র একটি রানওয়ে রয়েছে। কোনো ফ্লাইট যদি কোনো কারণে তাৎক্ষণিকভাবে অবতরণ করতে না পারে, তাহলে ফ্লাইটটিকে হোল্ডিং প্যাটার্নে চলে যেতে হয়।

২৬ আগস্ট বিমানবন্দরের আত্মঘাতী হামলার ঘটনার পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ওই হামলায় শতাধিক আফগান নাগরিক ও ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হন।