Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল উদ্বোধন

সিঙ্গাপুরের ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল উদ্বোধন করেছে সিঙ্গাপুর। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে দেশটির সমুদ্রতীরবর্তী স্থানে গতকাল বুধবার এ প্যানেলের উদ্বোধন করা হয়।

১ লাখ ২২ হাজার প্যানেলের প্রকল্পটি ৪৫টি ফুটবল মাঠের সমান। এখান থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, তা দিয়ে দেশটির পাঁচটি পানি শোধনাগার চালানো যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে স্থান সংকুলানের কারণে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রসীমা বৃদ্ধিতে দ্বীপ রাষ্ট্রটি এমনিতেই হুমকিতে রয়েছে।

ফলে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সিঙ্গাপুরে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। যদিও অনেকে বলছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখতে চার গুণ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি।

সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে সৌর প্যানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সিম্বকর্প ইন্ডাস্ট্রিজ। এটি পশ্চিম সিঙ্গাপুরের একটি জলাধারে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের জাতীয় পানি সংস্থা পিইউবি ও সিম্বকর্পের দাবি, এ সৌরবিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ৩২ কিলো টন কার্বন নির্গমন কমাতে সক্ষম হবে। এর অর্থ রাস্তা থেকে সাত হাজার গাড়ি সরিয়ে ফেললে যে পরিমাণ কার্বন কমবে, তার সমান।

সিম্বকর্পের দাবি, প্রচলিত ছাদের ওপরে রাখা সৌর প্যানেলের তুলনায় ভাসমান প্যানেল ৫ থেকে ১৫ গুণ বেশি কার্যকর। কারণ, পানি শীতলের কাজ করে এবং ভবনের কোনো ছায়া এর ওপর প্রভাব ফেলে না।

পিইউবি বলেছে, এ প্রকল্পের কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই। বিশেষ করে বন্য জীবন ও পানির মানে এটি কোনো প্রভাব ফেলে না।

সিম্বকর্প ইন্ডাস্ট্রিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সোলার প্রধান জেন টান বলেন, এ সৌর প্যানেল এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যাতে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে এবং পানির মধ্যে সূর্যের আলো পড়তে পারে।

২৫ বছরের বেশি সময় এ সৌর প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এটি রক্ষণাবেক্ষণে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে। বর্তমানে সিম্বকর্পের এ সৌর প্যানেল ছাড়া আরও চারটি ভাসমান সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সিঙ্গাপুর।