Thank you for trying Sticky AMP!!

মন্ত্রিসভা বড় করল তালেবান, নেই নারী

নতুন মন্ত্রীসভার ঘোষণা দেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে।

আফগানিস্তানে নতুন মন্ত্রিসভার বাকি পদগুলোয় নিয়োগ দিয়েছে তালেবান। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তালেবানের অংশগ্রহণমূলক সরকারে সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতারা জায়গা পেলেও, নেই নারীরা। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তালেবানের নতুন মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন হাজি নুরুদ্দিন আজিজি। তিনি পানশির প্রদেশের ব্যবসায়ী। রাজধানী কাবুলের পতনের পরও দীর্ঘদিন আফগানিস্তানের এ প্রদেশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত ছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হয়েছেন বাঘলান প্রদেশের ব্যবসায়ী হাজি মোহাম্মদ বশির। ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. কালান্দার ইবাদ। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হয়েছেন যথাক্রমে মোল্লা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাতির।

কাবুলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর নতুন সরকারের প্রধান ও কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম জানিয়েছিল তালেবান। এখন সরকারের বাকি পদগুলোয় নিয়োগ দেওয়া হলো। সংবাদ সম্মেলনে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ঘোষিত পদগুলো আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে।

জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নতুন করে তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। ওই মন্ত্রণালয়ের নাম দেওয়া হয়েছে নীতিনৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একসময় এ মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানে কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকারের আমলে এ মন্ত্রণালয় ছিল।

আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে সরকার গঠনের কথা বলে আসছিল তালেবান। তবে নতুন সরকারে কট্টরপন্থী তালেবান নেতাদের প্রাধান্য দেখা গেছে। তালেবান সরকারে অন্যান্য দল ও নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে তালেবানের নতুন মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতারা জায়গা পেলেও, কোনো নারী স্থান পাচ্ছেন না, বিষয়টি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে অস্পষ্ট।