জাপানের আকাশসীমায় ওড়া বস্তুগুলো চীনা নজরদারি বেলুন হতে পারে: টোকিও
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিজেদের আকাশসীমায় শনাক্ত হওয়া রহস্যজনক বস্তুগুলো চীনা নজরদারি বেলুন ছিল বলে মনে করছে জাপান। বস্তুগুলোর তথ্য নতুন করে বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এমন ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাপান বলেছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাদের আকাশসীমায় শনাক্ত হওয়া বস্তুগুলোর তথ্য আবারও পর্যালোচনা করবে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ধ্বংস করা চীনা ‘নজরদারি’ বেলুনের আলোকে এ বিশ্লেষণ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১৯ সালের নভেম্বর, ২০২০ সালের জুন এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরসহ বিভিন্ন সময়ে জাপানের আকাশসীমায় বেলুন আকারের যে বস্তুগুলোকে উড়তে দেখা গিয়েছিল, সেগুলোর তথ্য আরও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে আমাদের খুব করে মনে হচ্ছে এগুলো চীনের ওড়ানো চালকবিহীন অনুসন্ধান বেলুন।’
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদেশি চালকবিহীন গোয়েন্দা বেলুনগুলো আকাশসীমার যে লঙ্ঘন করেছে, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। তাদের দাবি, চীন সরকারকে এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যেন না হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনা গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয়। এর কয়েক দিন আগে থেকেই সেটি মার্কিন সামরিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ছিল। পরদিন এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। চীনা বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়ে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র তরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী অপেক্ষাকৃত ছোট বস্তু শনাক্ত করার মতো করে রাডারকে প্রস্তুত করে। এর মধ্য দিয়ে আরও তিনটি রহস্যজনক বস্তু শনাক্ত হয়। এর একটি দেখা গেছে আলাস্কায়, একটি কানাডায় এবং আরেকটি মিশিগানের লেক হুরনে।
আরও পড়ুন
-
ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের তোপ সামলানোই হবে ইরানের নতুন নেতৃত্বের বড় পরীক্ষা
-
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
-
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খোঁজ পাওয়া যায়নি পাঁচ দিনেও
-
ইরানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘণ্টাখানেক বেঁচে ছিলেন এক আরোহী
-
মেসি–দি মারিয়াকে নিয়েই কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা