
২০১৯ সালের অক্টোবরের প্রথম দিকেই চীনে করোনাভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়ে থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই বলা হচ্ছে। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
পিএলওএস প্যাথোজেনস সাময়িকীতে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের গবেষকেরা গবেষণাটি করেছেন।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি-বিস্তারের সময়কাল বের করতে গবেষকেরা সংরক্ষণ বিজ্ঞানের (কনজারভেশন সায়েন্স) সূত্র ব্যবহার করেছেন।
এ গবেষণা অনুযায়ী, চীনে করোনাভাইরাসের উৎপত্তির সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর। আর ২০২০ সালের জানুয়ারি নাগাদ এই ভাইরাস সম্ভবত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল।
চীনের আনুষ্ঠানিক ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজারের সঙ্গে করোনা বিস্তারের যোগসূত্র আছে।
তবে পিএলওএস প্যাথোজেনস সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, উহানে করোনার প্রথম উৎপত্তির বিষয়ে চীন যে সময়কালের কথা দাবি করছে, তার দুই মাস আগেই এই ভাইরাসের আগমন ঘটে থাকতে পারে।
চীনে করোনার উৎপত্তি-বিস্তার নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া চীনের বিরুদ্ধে করোনার উৎপত্তি-বিস্তার নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তকারীদের যথেষ্ট সহযোগিতা না করারও অভিযোগ আছে।
সম্প্রতি দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, উহানের একটি ল্যাবে কর্মরত তিনজন গবেষক অসুস্থতা নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনা প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে চীনের তথ্য প্রকাশের আগেই এই ঘটনা ঘটেছিল।
করোনার উৎস ও তার উৎপত্তির সময়কাল সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা তথ্য সামনে এলেও তা অকাট্য নয়।
গত মাসের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনার উৎপত্তি নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বে চলমান মহামারির জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে তা ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে পেশ করতে বলেছেন বাইডেন। বিস্তারিত তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্য চীনের ওপর চাপ দেবে যুক্তরাষ্ট্র।