Thank you for trying Sticky AMP!!

উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে: জাতিসংঘ

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের শিবিরগুলোয় ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর

জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের মারাত্মক নিপীড়নের ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ’ পাওয়া গেছে। এসব তথ্য–প্রমাণ সম্ভাব্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের পর্যায়ে পড়ে। জাতিসংঘের বহুল প্রতীক্ষিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়েছিল চীন। বেইজিং প্রতিবেদনটিকে পশ্চিমা শক্তিগুলোর ‘প্রহসনের আয়োজন’ বলেও মন্তব্য করেছে। প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন।

তবে তদন্তকারীরা বলছেন, তাঁরা নিপীড়নের ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ’ উদ্‌ঘাটন করেছেন, যা সম্ভাব্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের পর্যায়ে পড়ে। তাঁরা অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণ করতে চীন অস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে এবং ‘বিধিবহির্ভূত আটকের ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেছে।

Also Read: উইঘুর অঞ্চলের জনঘনত্ব কমানোর চীনা কৌশল

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের কার্যালয় এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। হাইকমিশনার হিসেবে তাঁর চার বছর দায়িত্ব পালনের শেষ কর্মদিবসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যসহ বন্দীরা বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্যদের ওপর বৈষম্যমূলক পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন।

জাতিসংঘের সুপারিশে বলা হয়েছে, চীন অবিলম্বে যেন ‘বিধিবহির্ভূতভাবে স্বাধীনতাবঞ্চিত সব ব্যক্তিকে’ মুক্তি দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়। বেইজিংয়ের কিছু কর্মকাণ্ড ‘কমিশনের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধের’ পর্যায়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, কত মানুষকে সরকার আটক করেছে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়। চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের শিবিরগুলোয় ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।

Also Read: উইঘুর অধ্যুষিত এলাকা থেকে পণ্য আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

জিনজিয়াংয়ে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি উইঘুরের বসবাস, যাদের অধিকাংশই মুসলিম। সেখানকার অমুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলেছে জাতিসংঘ।

এর আগে জিনজিয়াংয়ে চীনের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে অভিহিত করে কয়েকটি দেশ। তবে বেইজিং নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলারই অংশ এসব বন্দিশিবির।

Also Read: উইঘুর মুসলিম নিয়ে পাকিস্তান নীরব কেন