ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ নেন সুলতান সুলেমানের পূর্বসূরি

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২৯ মে। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

সুলতান সুলেমানের চরিত্রে তুরস্কের অভিনেতা হালিত আরগেন। তুর্কি টিভি সিরিজ ‘সুলতান সুলেমান’ বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। অটোমান সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগের একটি বড় সময় ছিল সুলতান সুলেমানের শাসনামল

একসময় বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের প্রতাপ তুরস্ক ছাড়িয়ে আশপাশে পৌঁছে গিয়েছিল। এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটায় অটোমানরা। ১৪৫৩ সালে অটোমান শাসক সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ কনস্টানটিনোপল (বর্তমান তুরস্কের ইস্তাম্বুল) অবরোধ করেন। টানা ৫৩ দিনের অবরোধ শেষে এই দিনে কনস্টানটিনোপল অটোমানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পতন ঘটে এক সময়ের শক্তিশালী বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের।

অটোমান সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ বলা হয় ১৪৮১ সাল থেকে ১৫৬৬ সাল পর্যন্ত সময়কে। এই সময়ে ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের নেতা ছিলেন সুলতান সুলেমান। ১৫৬৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পর দুর্বল হতে থেকে অটোমান সাম্রাজ্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ে ১৯২২ সালে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।

হাইড্রোজেন গ্যাস আবিষ্কার

যুক্তরাজ্যের রসায়নবিদ হেনরি ক্যাভেন্ডিস কাজ করতেন দেশটির রয়্যাল সোসাইটি ইন লন্ডনে। ১৭৬৬ সালের এ দিনে তিনি বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদহীন নতুন এক গ্যাস আবিষ্কার করেন। পরে এর নাম দেওয়া হয় হাইড্রোজেন।

নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী স্যার এডমন্ড হিলারি (বায়ে) ও নেপালের শেরপা তেনজিং নরগে

হিলারি-তেনজিংয়ের এভারেস্ট জয়

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার (প্রায় ২৯ হাজার ৩২ ফুট)। একসময় এর চূড়া মানুষের নাগালের বাইরে ছিল। তবে ১৯৫৩ সালে নতুন ইতিহাস রচিত হয়। ওই বছরের ২৯ মে প্রথমবারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী স্যার এডমন্ড হিলারি ও নেপালের শেরপা তেনজিং নরগে।

জার্মান বিএফ-১০৯ যুদ্ধবিমানের উড্ডয়ন

জার্মানির সামরিক বহরে একসময় রাজত্ব করেছে বিএফ-১০৯ যুদ্ধবিমান। ১৯৩৫ সালের এই দিনে যুদ্ধবিমানটি প্রথম উড্ডয়ন করে। যুক্ত হয় জার্মান বিমানবহরে। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সামরিক বাহিনীর এই যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতের বিনোদন জগতে সুপরিচিত নাম টি সিরিজ

টি সিরিজের ১০ কোটি অনুসারী

ভারতের বিনোদন জগতে সুপরিচিত নাম টি সিরিজ। এটা খ্যাতনামা একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। ‘টি সিরিজ’ নামেই এই প্রতিষ্ঠানের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। বলিউডের চলচ্চিত্রের ট্রেইলার, গান এবং ছোট ছোট ভিডিও ফুটেজ রয়েছে এ চ্যানেলে। ২০১৯ সালের এই দিনে টি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে অনুসারীর সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে টি সিরিজের অনুসারী ২০ কোটি ছাড়িয়েছে।