Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের গবেষক গ্রেপ্তার

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এক গবেষককে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তারা এ আইনের অধীন গত মার্চ মাসে দুজন পুরুষকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের একজনের বয়স কুড়ির কোঠায়, আরেকজনের ত্রিশের কোঠায়।

একাধিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট–বিষয়ক গবেষক। তিনি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কাজ করতেন।

যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস প্রথম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক এমপির সঙ্গে এই গবেষকের সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হয়।

গতকাল রোববার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, চীনা হস্তক্ষেপের বিষয়ে দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সুনাক ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সুনাক যুক্তরাজ্যের সংসদীয় গণতন্ত্রে চীনা হস্তক্ষেপের বিষয়ে তাঁর গভীর উদ্বেগের কথা লি কিয়াংয়ের কাছে জানান।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেননি। তাঁর বদলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এ সম্মেলনে অংশ নেন।

সানডে টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনডাট, পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারওম্যান অ্যালিসিয়া কার্নসসহ অন্যদের সঙ্গে এই গবেষকের সম্পর্ক ছিল।

বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি সূত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, যে ব্যক্তির বয়স ত্রিশের কোঠায়, তাঁকে অক্সফোর্ডশায়ার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরজনকে এডিনবার্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বাসায় তল্লাশিও চালানো হয়।

গ্রেপ্তার পর উভয় ব্যক্তিকে দক্ষিণ লন্ডনের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ড এ ঘটনা তদন্ত করছে।