Thank you for trying Sticky AMP!!

গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে

মস্কোয় হামলায় অবশ্যই বিদেশি রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল: এরদোয়ানের সহযোগী

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দলের মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেছেন, রাশিয়ার মস্কোয় ক্রোকাস সিটি হলে হামলার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণত অন্য দেশের (রাষ্ট্রীয়) পৃষ্ঠপোষকতা থাকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মুখপাত্র।

গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। হলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত তিন শতাধিক।

হামলার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে রাশিয়ার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে চারজনকে ‘হামলাকারী’ হিসেবে কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করেছে।

একেপির উপ-চেয়ারম্যান সেলিক গতকাল তুর্কি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিকে বলেন, এটা সুস্পষ্ট যে কোনো রাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের পেশাদার কর্মকাণ্ড করা অসম্ভব। এ ধরনের ঘটনায় সব সময়ই পৃষ্ঠপোষক (রাষ্ট্রীয়) থাকে।

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনায় রাশিয়ার প্রতি তুরস্ক আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন সেলিক।

ক্রোকাস সিটি হলে হামলার দায় নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)।

ইউক্রেন বলছে, এই হামলার ঘটনায় কিয়েভের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
হামলার ঘটনায় রাশিয়ার নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সবাই তাজিক নৃগোষ্ঠীর।

Also Read: মস্কো হামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনল রাশিয়া

হামলাকারীদের ‘উগ্র ইসলামপন্থী’ বলে বর্ণনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাষ্য, এ হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে আইএস-কে যে একাই এই হামলা চালিয়েছে, সে ব্যাপারেও তারা কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।

Also Read: আইএস মস্কোতে হামলা চালাবে, তা বিশ্বাস করা কঠিন: রাশিয়া

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা চালাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা যে ইউক্রেন থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ক্রিপ্টোকারেন্সি (ডিজিটাল মুদ্রা) পেয়েছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হামলায় অর্থের জোগান দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি এখনো তাঁর পরিচয় প্রকাশ করেনি।