Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাসের ফোন হ্যাক করেছিলেন ‘পুতিনের এজেন্টরা’

লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ব্যক্তিগত ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাস যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে কাজ করা এজেন্টরা এ কাজ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কোয়াজি কোয়ার্টাঙ, যিনি পরবর্তী সময় অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে আদান-প্রদান করা ব্যক্তিগত বার্তা হাতিয়ে নিয়েছিলেন এজেন্টরা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে হওয়া আলোচনার ‘খুবই গোপন বিশদ তথ্য’ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

Also Read: বাজার অর্থনীতির নিষ্ঠুর বলি প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

ডেইলি মেইল বলছে, বেহাত হওয়া বার্তার মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অস্ত্রের চালান–সম্পর্কিত আলোচনাও ছিল।

অনামা সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল বলছে, প্রায় এক বছরের বার্তা ডাউনলোড করেছিলেন হ্যাকাররা।

পত্রিকাটি বলছে, হ্যাক করা যে বার্তা বিদেশিদের হাতে পড়েছিল, এর মধ্যে ট্রাস ও কোয়াজি কর্তৃক বরিস জনসনের সমালোচনা ছিল, যা ব্ল্যাকমেলের সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।

‘ব্যক্তির’ সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র।

তবে ওই মুখপাত্র বলেন, সাইবার হুমকি থেকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে। এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে মন্ত্রীদের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা ব্রিফিং। তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা ও সাইবার হুমকি প্রশমনসংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান।

Also Read: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দেড় মাসের মাথায় লিজ ট্রাসের পদত্যাগ

ডেইলি মেইল বলছে, ট্রাসের ফোন হ্যাক হওয়ার বিষয়টি উদ্‌ঘাটিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রচার পর্বের সময়।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনের পদত্যাগের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাস। পরে তিনি ঋষি সুনাককে হারিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র দেড় মাসের মাথায় ট্রাস পদত্যাগে বাধ্য হন। গত সপ্তাহে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন।

ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ঋষি সুনাক। তিনি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।

Also Read: দেড় মাসে যা ঘটল যুক্তরাজ্যে