
বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিতে নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
এর মধ্য দিয়ে মহারাষ্ট্রে দুই সপ্তাহ ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটল। এই অচলাবস্থার কারণে শিবসেনা দুই ভাগ হয়েছে। পতন হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের সরকারের।
এনডিটিভি বলছে, আজ সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় আস্থা ভোট হয়। মাথা গুনে দেখা যায়, শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আস্থা ভোটে একনাথ শিন্ডের শিবির ১৬৪ ভোট পেয়েছে। বিরোধীরা পেয়েছে ৯৯ ভোট। যদিও গতকাল রোববার স্পিকার নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষে ১০৭ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছিলেন। একজন বিধায়ক শিন্ডে শিবিরে ভিড়েছেন। অন্যরা ভোটদানে বিরত ছিলেন।
কংগ্রেসের বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার, জিসান সিদ্দিকি ও ধীরাজ দেশমুখ আস্থা ভোটের সময় উপস্থিত ছিলেন না। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক চাভান ভোট শেষ হওয়ার পরে পৌঁছান। এনসিপির সংগ্রাম জগতাপকেও দেখা যায়নি। গতকাল এই চারজনই বিধানসভায় ছিলেন।
সমাজবাদী পার্টির (এসপি) আবু আজমি ও রইস শেখ এবং এআইএমআইএমএর শাহ ফারুক আনোয়ার ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার আস্থা ভোটের কয়েক মিনিট আগে একনাথ শিন্ডে শিবিরে যোগ দেন। একনাথ শিন্ডের শিবিরে এখন শিবসেনার মোট ৪০ বিধায়ক রয়েছেন।
গতকাল বিজেপির রাহুল নরবাকার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। বিদ্রোহী ১৬ জন আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করার জন্য আদালতের দারস্থ হয়েছিল শিবসেনা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আস্থা ভোট ও তাতে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।
স্পিকার রাহুল গত রাতে পুনরায় বলেছেন, রাজ্য বিধানসভায় শিবসেনার দলীয় নেতা একনাথ শিন্ডে। এ ছাড়া চিফ হুইপ হিসেবে গোগাওয়ালের নিয়োগে স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।
গত ২০ জুন রাতে বিধান পরিষদ নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের ফল খারাপ হওয়ার পর শিবসেনার ২০ জনের মতো বিধায়কসহ শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে আসামে গিয়ে ওঠেন একটি হোটেলে। সেখানে থেকে তাঁরা বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দাবি করে আস্থা ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের গভর্নরের নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাচাইয়ের প্রমাণ দিতে বিধানসভায় ভোটাভুটি আয়োজনের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক মিনিট পরই উদ্ধব ঠাকরে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিন্ডের নাম ঘোষণা করেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডনবিশ। এদিন সন্ধ্যায় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফডনবিশের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর আজ বিধানসভায় আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়।