
কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়তে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নরেন্দ্র মোদির সরকার। ‘খেলরত্ন’ পুরস্কারের নাম থেকে বাদ দেওয়া হলো প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নাম।
তিন দশকের পুরোনো এই পুরস্কারের নতুন নামকরণ করা হলো ভারতীয় হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের নামে। আজ শুক্রবার থেকে ‘রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার’ পরিচিত হলো ‘মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার’ বলে।
নতুন এই নামকরণে সরকারকে সাহায্য করেছে টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় পুরুষ ও নারী হকি দলের চমকপ্রদ সাফল্য। ৪১ বছর পর ভারতীয় পুরুষ হকি দল অলিম্পিকে পদক পেল, মেয়েরাও ৪১ বছর পর অলিম্পিকে চতুর্থ হলো। ১
৯৮০ সালের সেই অলিম্পিক হয়েছিল মস্কোয়। হকির এই সাফল্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সাহায্য করল খেলরত্ন পুরস্কার থেকে রাজীবের নাম মুছে ধ্যানচাঁদের নাম জুড়তে। এর মাধ্যমে যেমন হকির প্রতি আগ্রহ বাড়বে, তেমনই সম্মানিত করা হলো বিশ্ব হকির সর্বকালের বিস্ময়কর প্রতিভা ধ্যানচাঁদকে। পাশাপাশি কংগ্রেস বিরোধিতার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও সাধিত হলো।
নাম বদলের এই সিদ্ধান্তের খবর প্রধানমন্ত্রী নিজেই টুইট করে জানান। শুক্রবার সকালে মেয়েদের হকি সেমিফাইনালে ভারত ও ব্রিটেনের ক্ষুরধার প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরেই মোদি টুইট করে বলেন, দেশের প্রচুর মানুষ তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন খেলরত্ন পুরস্কার ধ্যানচাঁদের নামে করতে। তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নাগরিকদের সেই ভাবাবেগকে সম্মান জানাতেই এই পুরস্কারকে ধ্যানচাঁদের নামে নামাঙ্কিত করা হলো।
অন্য এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় হকিতে ধ্যানচাঁদের অবদানের কথাও লেখেন। ১৯০৫ সালের ২৯ আগস্ট উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে জন্ম ধ্যানচাঁদের জন্মদিন প্রতিবছর জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়। তিনটি অলিম্পিকে ভারতের সোনা জয়ের মুখ্য কারিগর ছিলেন তিনিই।
রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে তাঁর নামে খেলরত্ন পুরস্কার চালু করা হয়। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে এটাই সর্বোচ্চ পুরস্কার। প্রথম বছর এই সম্মান পেয়েছিলেন দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ।