
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে হারতে বসেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। আজ সোমবার দুপুর নাগাদ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিরোধী ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও কংগ্রেসের জোট ৪৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৮১ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য দরকার ৪১ আসন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক নিবন্ধন পঞ্জি নিয়ে ভারতজুড়ে যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার মধ্যে বিজেপির এই পরাজয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
হার নিশ্চিত হলেও ঝাড়খন্ডের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেছেন, ‘ভোট নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি।’
রঘুবর ওই মন্তব্য করলেও বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র বিজয় শংকর শাস্ত্রী কার্যত পরাজয় মেনে নিয়েছেন। তিনি এনডিটিভিকে বলেন, ‘ঝাড়খন্ডের ফলাফল আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। বিজেপি ৬৫ আসনে জয় আশা করেছিল।’
বিজয় শংকর বলেন, ‘উন্নয়নের বিষয়টি আমরা জনগণকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।’
ঝাড়খন্ডে লোকসভার আসনসংখ্যা ১৪। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১১ আসনে জয় পায়।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ঝাড়খন্ড বিধানসভার ভোট গ্রহণ হয়।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটা থেকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। এর আগে বুথফেরত জরিপে বলা হয়, জেএমএম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসছে। তবে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
গত বছর তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের নির্বাচনে পরাজিত হয় বিজেপি। তবে পরে লোকসভায় বিজেপি বিপুল বিজয় পেলেও সম্প্রতি হাতছাড়া হয় মহারাষ্ট্র।
আজ ফলাফল আসার মধ্যে জেএমএমের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ পান্ডে বলেছেন, ‘মহাজোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। মানুষ বিজেপির প্রতি হতাশ।’
এই নির্বাচনে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হেমন্ত সরেন। তিনি রাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সরেনের ছেলে।