Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৫

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনে সহিংসতা ও সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে নিজেদের দলের বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর একজন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও তৃণমূলের মধ্যে চলা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এদিকে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় ও পায়েল সরকার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে।

আজ সকালে কোচবিহারের শীতলকুচির পাঠানটুলিতে তরুণ বর্মণ নামের ১৮ বছরের এক তরুণ প্রথম ভোট দিতে যান। এ সময় ওই কেন্দ্রে ভোট নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোলাগুলির সময় তরুণ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি মারা যান। এ বছরই তিনি প্রথম ভোটার হয়েছিলেন।

কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার জোড়াপাটকিতে সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। তৃণমূল দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের গুলি করে হত্যা করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা বিজেপির পক্ষে কাজ করলে তৃণমূল বাধা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
সকালে হুগলির চুঁচুড়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। লকেট অভিযোগ করেছেন, তিনি তৃণমূলের হাতে নিগৃহীত হন। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়। তৃণমূলের সমর্থকেরা লকেটের বিরুদ্ধে কালো পতাকাও দেখান। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারও বেহালায় তৃণমূলের কাছে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাওড়া, টালিগঞ্জ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গুরে তৃণমূলের সমর্থকেরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে ছাপ্পাভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সংঘর্ষ হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। ভাঙরে আইএসএফ সমর্থকদের ভোট দিতে তৃণমূল বাধা দিয়েছে। আইএসএফ প্রার্থীর ওপরও হামলা চালানো হয়।

Also Read: বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোট চলছে

আজ পাঁচ জেলার ৪৪টি আসনে ভোট হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপির প্রভাব বেশি। হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের প্রভাব বেশি। তৃণমূল চাইছে তাদের সাবেক আসনগুলো ধরে রাখতে। আর বিজেপি চাইছে তৃণমূলের ধরে রাখা আসনে ভাগ বসাতে।

৪৪টি নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আজকের প্রার্থীসংখ্যা ৩৩৯। ভোটকেন্দ্র এলাকায় ৮৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। আর রাজ্য পুলিশ থেকে নিয়োগ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১৩৩ জন পুলিশ সদস্য।