ভারতে করোনাভাইরাস

মিশ্র টিকা পরীক্ষার অনুমতি

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনার টিকা কোভিশিল্ড
ফাইল ছবি: রয়টার্স

কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসার মুখে এবার মিশ্র টিকা নিয়ে পরীক্ষা ও গবেষণার অনুমতি দিল ভারত সরকার। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) জানিয়েছে, মানব শরীরে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মিশ্র টিকার প্রভাব ও কার্যকারিতা কেমন, তা পরীক্ষা ও গবেষণা করে দেখা হবে। এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবককে। এই পরীক্ষা ও গবেষণা করা হবে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ভেলোরের খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজে (সিএমসি)।

মিশ্র টিকার উপযোগিতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন থেকেই মত দিয়ে আসছেন। তবে তত্ত্বগতভাবে তা নিয়ে যতটা আলোচনা হয়েছে, পরীক্ষাগারে ততটা নয়। তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে যখন ‘ডেলটা প্লাস’ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত এবং টিকার জোগানও কম, তখন আরও একবার এই মিশ্র টিকা পরীক্ষা করে দেখার তাগিদ অনুভব করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে জন্যই ডিসিজিআইয়ের এই সম্মতি। নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) একটা পরীক্ষা করেছিল। উত্তর প্রদেশের কোনো এক এলাকায় ভুলক্রমে যাঁদের শরীরে দুটি পৃথক টিকা দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ওপর। সেই ১১ পুরুষ ও ৭ নারীকে প্রথমে কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হয়েছিল, পরে ভুল করে দেওয়া হয় কোভ্যাক্সিন। উত্তর প্রদেশের সরকারের অনুমতি নিয়ে সে গবেষণা চালানো হয়।

ভারতে দেশীয় পদ্ধতিতে কোভ্যাক্সিন নামের টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক

দুটি টিকার মধ্যবর্তী ব্যবধান ছিল ৬ সপ্তাহ। আইসিএমআর সেই পরীক্ষা শেষে জানিয়েছিল, মিশ্র টিকা শুধু নিরাপদই নয়, তাতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেড়েছে। তবে আইসিএমআর বলেছিল, মিশ্র টিকা নিয়ে শেষ কথা বলার আগে আরও পরীক্ষা প্রয়োজন। একই কথা বলেছিলেন জীবাণু বিশেষজ্ঞ গগনদীপ কাঙ্গ। তিনি বলেছিলেন, টিকা যেখানে বাড়ন্ত, সেখানে এই পদ্ধতি খারাপ নয়। তবে এ নিয়ে আরও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনিও বলেছিলেন। কাঙ্গ ভেলোরের সিএমসি কলেজের অধ্যাপক।

ডিসিজিআইয়ের এই পরীক্ষা কেমন হবে, সে বিষয়ে আগাম কিছু জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, আইসিএমআরের পরীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে তাদেরটা আলাদা হবে।