
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। আজ শনিবার ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরজিসির অভিযোগ, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা স্পর্শকাতর স্থাপনার অবস্থান ও জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তথ্য পাচারের চেষ্টা করছিলেন।
আজ ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে গত জুন মাসে ইসরায়েলের বিমান হামলার সময় এসব তথ্য মোসাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ নিহত হন। ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ইরানে এটি সবচেয়ে বড় হামলা ছিল।
আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মোসাদের কাছ থেকে অনলাইনে বিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রকেট লঞ্চার, বোমা, বিস্ফোরক ও ফাঁদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি পুলিশ প্রায় ২১ হাজার ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ ছিল, তা জানায়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান অন্তত আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এদের মধ্যে পরমাণুবিজ্ঞানী রুজবেহ বাদিও আছেন। ৯ আগস্ট তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। আরেকজন বিজ্ঞানীর তথ্য ইসরায়েলের কাছে সরবরাহ করেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই বিজ্ঞানী পরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন।