Thank you for trying Sticky AMP!!

ইরানের ইন্টারনেট–সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল যুক্তরাষ্ট্র

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ চলছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে দেন

ইরানে ইন্টারনেট–সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে চলমান বিক্ষোভ দমাতে ইন্টারনেট–সেবা নিয়ন্ত্রিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মূলত তেহরানের এই পদক্ষেপের জবাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর বিবিসির

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানি জনগণ যাতে বিচ্ছিন্ন ও অন্ধকারে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সাহায্য করতে যাচ্ছি। সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার ফলে আমেরিকান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে।’

এ দিকে ইরানে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ইরানের ৮০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ও সরকারপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

Also Read: ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণীর মৃত্যু, বিক্ষোভ– সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ চলছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে দেন

এর আগে ২০১৯ সালে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল ইরানে। রয়টার্সের তথ্যমতে এরপর এত বড় বিক্ষোভ আর হয়নি দেশটিতে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইরানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। ইন্টারনেট–সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইরানে জনপরিসরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দাবিধি রয়েছে। এই বিধিগুলো কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারক করে দেশটির ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ পুলিশ। এই বিধির আওতায় নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশের একটি দল ১৩ সেপ্টেম্বর মাশা আমিনি নামের এক তরুণীকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন।

আটকের পর আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর তিন দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক মহলেও এ ঘটনার সমালোচনা করা হয়। এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, নিরাপত্তা হেফাজতে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাশা আমিনির সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও অন্যায় আচরণের যেসব অভিযোগ উঠেছে, অবশ্যই এর তদন্ত করতে হবে।