
লাহোরে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে আরও একবার দলের শক্তি প্রদর্শন করল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এবার রাজধানী ইসলামাবাদে আসতে নেতা–কর্মীসহ সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর ডনের।
গতকাল বৃহস্পতিবার পিটিআইয়ের বহুল আলোচিত এই সমাবেশে লাহোরের গ্রেটার ইকবাল পার্কে নারী-পুরুষ, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন। তাঁরা স্লোগানে স্লোগানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি সমর্থন জানান। বিদেশি প্রভুদের ছড়ি ঘোরানোর প্রতিবাদ জানান। সার্বভৌমত্ব ও আত্মসম্মানবোধের প্রতি সমর্থন জানান।
‘প্রকৃত স্বাধীনতা’ ও গণতন্ত্র পেতে দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে গোটা জাতির প্রতি আহ্বান জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে যাঁরাই ভুল করুক, তার একমাত্র সংশোধন হলো নতুন নির্বাচন।
মিনার-ই-পাকিস্তানের পাদদেশে বিশাল এই সমাবেশে নতুন সরকারকে আক্রমণ করেও বক্তব্য দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো এই আমদানি করা সরকারকে মেনে নেব না।’ বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকসহ যাঁরা ‘বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব থেকে মুক্তি’ চান, তাঁদের সবাইকে সর্বত্র প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এবং ইসলামাবাদে আসতে তাঁর ডাকের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন ইমরান খান।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রতি সম্মান জানিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কোনো সংঘাত চান না। কিন্তু ‘স্বাধীনতা আন্দোলন’ আরও জোরদার হবে। ‘প্রকৃত স্বাধীনতা’ ও গণতন্ত্র অর্জনে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে সক্রিয় থাকবেন— সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে এই শপথ করান তিনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা ধারণা করছেন, ঈদুল ফিতরের পর ব্যাপক আন্দোলন শুরু করতে পারে পিটিআই।
জাতীয় পরিষদে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ৯ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এই অনাস্থা প্রস্তাবের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তিনি। সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর বিক্ষোভ প্রদর্শন ও একের পর এক সমাবেশ করছে পিটিআই। দ্রুততম সময়ে নতুন নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার দলটি।