পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একটি জায়গার আশপাশের বাসিন্দারা প্রাণ ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে আসেন। ৭ মে ২০২৫
পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একটি জায়গার আশপাশের বাসিন্দারা প্রাণ ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে আসেন। ৭ মে ২০২৫

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙেছে মুজাফফরাবাদের বাসিন্দাদের

পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বড় ধরনের একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একটি সম্ভাব্য নিশানা ছিল মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদ। ওই মসজিদের পাশেই বসবাস করেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার খুব ঘুম পাচ্ছিল, এমন সময় প্রথম বিস্ফোরণে আমার বাড়িটা কেঁপে ওঠে। আমি দৌড়ে রাস্তায় বের হই। সেখানে দেখি অন্যরাও একই কাজ করছে। আমরা তখনো বুঝে উঠতে পারিনি, কী হচ্ছে। এর মধ্যেই আরও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।’

ওয়াহিদ বলেন, ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং তাঁদের প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে ওয়াহিদ বলেন, ‘বাচ্চারা কাঁদছে, মহিলারা দৌড়াদৌড়ি করছেন, তাঁরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানিই না, কী করব। লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন আর চারদিকে এক অজানা অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।’

ওয়াহিদ জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না একটি মসজিদ কেন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো।

ওয়াহিদ বলেন, ‘এটা তো সাধারণ একটা মসজিদ ছিল, যেখানে আমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তাম। আমরা এই মসজিদ ঘিরে কখনো সন্দেহজনক কিছু দেখিনি।’