Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন

পিটিআই-সমর্থিত এসআইসি সংরক্ষিত আসন পাবে না

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) পার্লামেন্টের সংরক্ষিত আসন পাবে না। আজ সোমবার দেশটির নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে এল।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের চারজন এসআইসিকে সংরক্ষিত আসন না দেওয়ার পক্ষে মত দেন। অন্যজন এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

ইসিপি জানিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আগেই সংরক্ষিত আসনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক নামের তালিকা কমিশনে জমা দেওয়ার কথা। ওই সময় সংরক্ষিত আসনের জন্য এই তালিকা জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এসআইসি কোনো তালিকা জমা দেয়নি। নির্বাচনের আগেই ওই তালিকা জমা দেওয়া ‘বাধ্যতামূলক’ বলে উল্লেখ করেছে কমিশন।

৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে ৯২ টি আসনে জয়ী হয়। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৯ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসন পেয়েছে।

জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৬০টি। সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১০টি। এসব আসন নির্বাচনে জয়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংখ্যানুপাতে ভাগ করে দেওয়া হয়। পিটিআই সমর্থিত এসআইসি বাদে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে আসন ভাগ করে দিয়েছে ইসিপি।

ভোটের আগে ইসিপির সিদ্ধান্তে ইমরানের দল পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয় নেতারা। এরপরও সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পায় তারা। সংরক্ষিত আসনগুলোর ভাগ পেতে পিটিআই নেতারা দলীয় সিদ্ধান্তে এসআইসিতে যোগ দেন।

Also Read: কারাগারে থেকেও ‘জিতে চলেছেন’ ইমরান খান

Also Read: পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ