Thank you for trying Sticky AMP!!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা সহ্য করছেন না বলসোনারো

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সমালোচকদের বাদ দিয়ে দিচ্ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সম্প্রতি অভিযোগ করছে, শতাধিক সমালোচককে তাঁর অ্যাকাউন্টে গিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলসোনারো, যা বাক্‌স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এইচআরডব্লিউর অভিযোগ, প্রেসিডেন্টের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ব্রাজিলের কমপক্ষে ১৭৬ জন সাংবাদিক, আইনপ্রণেতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব রাখা ব্যক্তি ও সাধারণ নাগরিক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছেন না। অধিকাংশ ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এ সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

ব্রাজিলের এইচআরডব্লিউর পরিচালক মারিয়া লরা ক্যানিনিও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তফাতে রাখার চেষ্টা করছেন বলসোনারো এবং শুধু তাঁকে প্রশংসা করা অ্যাকাউন্টগুলোকে মন্তব্য করার অনুমোদন দিচ্ছেন। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টা হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

এর আগে ২০১৯ সালে বলসোনারোর রাজনৈতিক রোল মডেল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন আপিল আদালত রুল জারি করে বলেছিলেন, টুইটারে তিনি সমালোচকদের ব্লক করে দিতে পারবেন না। কারণ, এটি বাক্‌স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, বলসোনারো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়ার অধিকার লঙ্ঘন করছেন। তাঁদেরও ব্লক করে দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। এর বাইরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, খবরের সাইট ইউওএল ও দ্য ইন্টারসেপ্ট ব্রাজিলকেও ব্লক করে দিয়েছেন তিনি।

ব্রাজিলের তথ্যমন্ত্রী ফাবিও ফারিয়া বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে ব্লক করার অধিকার প্রেসিডেন্টের রয়েছে। সরকারি অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টগুলো এক জিনিস, আর প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আরেক।’

আর বলসোনারো দাবি করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই তাঁর বাক্‌স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হয়। ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলে তাঁর পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।