Thank you for trying Sticky AMP!!

ডেলটা সংক্রমণ বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন নয়: ফাউসি

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি

করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র আর লকডাউনে ফিরে যাবে না। দেশটির শীর্ষ বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফাউসি গত রোববার এ কথা বলেছেন। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ফাউসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা।

ফাউসি এবিসির ‘দিস উইক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যথেষ্ট লোককে টিকা দেওয়ায় গত শীতের মতো তীব্র সংক্রমণের পুনরাবৃত্তি এবার হবে না। এদিকে ডেলটা ধরনের সংক্রমণ বাড়ায় চলতি সপ্তাহে বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরও ফাউসি বলছেন, ‘আমি মনে করছি না যে আমরা আবারও লকডাউনে যাচ্ছি।’

বিশ্বজুড়েই ডেলটা ধরন এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। তীব্র সংক্রামক ডেলটা ধরনের কারণে চীন, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশই নতুন করে লকডাউন জারি করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্র তাদের আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে চলতি সপ্তাহে বলেছে, যাঁরা টিকার পুরো ডোজ গ্রহণ করেছেন, তাঁদেরও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ইনডোরেও মাস্ক পরতে হবে। তবে মাস্কের এ পরিবর্তিত নীতির কারণে টিকা নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে ফাউসি তাঁর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, টিকা নেওয়া লোকজনের করোনার ঝুঁকি কম। তবে সংক্রমিত হলেও তাঁদের মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে না। ফাউসি উল্লেখ করেন, ‘টিকা যাঁরা নেননি, তাঁদের মধ্যেই আমরা সংক্রমণ ছড়াতে দেখছি।’

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, রোববার পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ২২ হাজার ৪১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৪৬০ জনের। বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের তালিকায় এখনো প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে ভারত ও তৃতীয় স্থানে ব্রাজিল।

ডব্লিউএইচও বলেছে, গত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্তের দিক দিয়েও শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রোববার পর্যন্ত হালনাগাদ) ৫ লাখ ২২ হাজার ৩৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে (মৃত্যুর তালিকায় সপ্তম)।

সংস্থাটির তথ্যমতে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে ৯১০ জনের। এই সময়ে দেশটি রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে (৩৭ হাজার ৫৮২ জন)। একই সময়ে শনাক্তের তালিকায় প্রথম অবস্থানে থাকা ভারতে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ১৩৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪২২ জনের (চতুর্থ)।